"ধর্ষিত হয় নাবালিকা মুসলিম ছাত্রী" মা সমতুল্য শিক্ষিকা অনিতা ম্যাডামের সহযোগিতায় স্কুল ডিরেক্টরের ছেলে সম্রাট বিশ্বাসের হাতে ধর্ষিত হয় নাবালিকা মুসলিম ছাত্রী।
শহরসা, বিহার,ভারত।
বিহার শহরসা এলাকায় আবারও একটি নেককারজনক ঘটনার সাক্ষী হলো।
একজন মা সমতুল্য শিক্ষিকার সহযোগিতায় একজন নাবালিকা মুসলিম মেয়ে হারিয়েছেন তার সর্বস্ব। সেই ছোট্ট মেয়েটির জিজ্ঞাসা বাদে এই লোমহর্ষক সত্যতা উঠে আসে।
একটি শিশু মানসিক রোগে প্রায় দু বছর ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছিল। কোন কিছুতেই তার বাবা-মা বুঝে উঠতে পারছিল না, কি হয়েছে। মেয়েটির বিষন্নতায় এবং ভয়ে মানসিক চাপে যখন অন্যরকম আচরণ করতে থাকে বাবা-মা বুঝতে পেরে তাকে একটি মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
এরপর সেখানে মানসিক ডাক্তারদের সুকৌশল জিজ্ঞাসাবাদে এবং অভয় দেওয়ার মাধ্যমে সেই শিশু মেয়েটি তার সাথে ঘটে যাওয়া সেই লোমর্ষক কাহিনীর বর্ণনা দিতে থাকে।
শিশু মেয়েটি বলে একদিন সে বরাবরের মতোই তার নিজের স্কুলে শান্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান। স্কুল ছুটির পর সবাই যখন চলে যায়, তখনও মেয়েটি তার শিক্ষিকা অনিতা ম্যাডামের কথায় তার সঙ্গেই অবস্থান করেন। পরবর্তীতে অনিতা ম্যাডামের কথা অনুযায়ী সেই নাবালিকা ছাত্রীটি একটি শ্রেণী কক্ষে যায়। এরপর অনিতা ম্যাডাম বাহির থেকে শ্রেণীকক্ষটি তালাবদ্ধ করে দেন। মেয়েটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই শ্রেণিকক্ষে লুকিয়ে থাকা স্কুল ডিরেক্টর অজিত বিশ্বাসের ছেলে সম্রাট বিশ্বাস এই নাবালিকা মেয়েটির উপর হিংস্রভাবে ঝাপিয়ে পড়ে।
মেয়েটি বারবার তার ম্যাডামকে ডাকতে থাকলেও ম্যাডাম কোন সাড়া দেয় না।
তখন তার আর বুঝতে কোন বাকি থাকে না যে, সে নিজে- তার অনিতা ম্যাডামের সহযোগিতায় আগুনে পড়ে গেছে। কোন উপায়ান্ত না পেয়ে নিজেকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে নরপিশ্বাস সম্রাটের হাতে ধর্ষিত হয়।
নাবালিকা ছাত্রীটি সর্বস্ব হারিয়ে কান্না করতে থাকে এবং নিজের শরীরের দেখতে থাকে হিংস্র জানোয়ারের আঁচর ও রক্তের দাগ এবং রক্তে ভিজে যাওয়া জামা।
সম্রাট বিশ্বাস তার স্বার্থকে চরিতার্থ করার পর তাকে ফেলে বাহিরে এসে ওর অনিতা ম্যাডামকে জিজ্ঞেস করে বাইরে কেউ আছে নাকি? - অনিতা ম্যাডাম তাকে অভয় দিলে, সে স্কুল থেকে চলে যায়।
এরপর অনিতা ম্যাডাম সেই নাবালিকাটি কাছে যায় ও সমস্ত কিছু ভিডিও করে এবং তাকে বলে যে, আমি শুরু থেকে শেষ সমস্ত কিছুই ভিডিও করেছি। যা কিছু হয়েছে তা যেন কাউকে না বলে। যদি কাউকে বলে, তাহলে অনিতার নিজের ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করে দেবে।
এরপর থেকে নাবালিকা ছাত্রীটি ভয়ে কাউকে কিছু বলতে না পেরে সবকিছু চেপে যায়।
সেদিনের সেই ঘটনার ভিডিও চিত্রকে পুঁজি করে সম্রাট বিশ্বাস মুসলিম নাবালিকা ছাত্রীকে ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখি অনিতা মেডামের সহযোগিতায় নাবালিকা ছাত্রীর অনিচ্ছা সত্তেও প্রায় দু বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে।
যখন তার বিষন্নতার চরম পরিস্থিতিতে মানসিক অবনতি লক্ষ্য করা যায়, তখন তার পরিবার একজন মানসিক ডাক্তারের সরানোপূর্ণ হন এবং ডাক্তারের মাধ্যমে এসব তথ্য বেরিয়ে হয়ে আসে।
খবর সূত্রঃ
https://twitter.com/TheMuslim786/status/1698337838818046297?s=20
No comments