Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

ঔষধ কোম্পানির দৌরাত্ম্যের শেষ কোথায়?


কয়েকদিন ধরেই ভাবছি কিছু লিখব। কিন্তু অনেক কিছুই ভেবে থেমে যায়, যে লিখব না।
তার পরেই দেখি করতোয়ার কলামে সংবাদ বেড়িয়েছে। সেখানেও অনেক কিছুই লেখা হয়েছিল। লেখাটি পড়ার পর যা ভাবলাম, যে আমার মনের ভাব প্রকাশে কারু এসে যায় না। যেখানে সুনাম ধন্য পত্রিকার প্রতিবেদন কিছুই করতে পারল না। আমি কে?  কিন্ত আজকে যখন একই ঘটনার পুনরাবৃত দেখলাম তাও আবার পূর্বের চেয়ে একটু প্রকট। তখন চিন্তা করলাম, না কথা গুলো বললেই ভাল। হয়তো হতে পারে কোন সমাধান। 

সচিত্র আমি যা দেখছি ওদেরি বা কি দোষ, ওদের জায়গাতে আমি থাকলে হয়তো আমিও তাই করতাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে কাউকে দায়ি করতে গেলেও নিজে দোষী হতে হয়। সেখান থেকে আমি মনে করি ওরা যা করছে হয়তোবা জেনে নয়তো না জেনে অথবা কোন এক দায়িত্ব চাপে কিংবা কোন মৌন দাসত্বে। যাক সে সব কথা, বড় গাড়ির বড় চাকা ছোট প্রায়ই পিষ্ট  হবেই এটাই স্বাভাবিক। 
এরাও সেই চাকায় পিষ্ট হয়ে চলা কিছু মানুষ।

বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুর্নীতি আর এই সব তথাকথিত ঔষধ কোম্পানি ও কিছু ডাক্তারদের কারনেই জিম্মী সাধারণ মানুষের সেবার প্রত্যাশিত  স্থান গুলো।

সেদিনের করতোয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল_
সংক্ষেপঃ 
"দৈনিক করতোয়া"
"প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৩, ১০:৫৫ রাত"

সকাল ৯ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত যে কোন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশ নিষেধ। যা কোন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা কোন ভাবেই মানছেন না।  হাসপাতালের জরুরী বিভাগের উত্তর পাশে দুই মেডিকেল অফিসারের রুমে ১০ থেকে ১২ জন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা রোগীর চেয়ারে বসে ও পাশে দাঁড়িয়ে ডাক্তার ভিজিট করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার নীলরতন দেবের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানেন। তবে তিনি সাথে সাথে কোন পদক্ষেপ নেন নি। হাসপাতালে ভুক্তভোগীরা প্রশ্ন করেন অফিস চলাকালীন ডাক্তাররা কিভাবে তাদের কক্ষে কোম্পানি প্রতিনিধিদের প্রবেশের অনুমতি দেন। তারা এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

তবে একটি মজার বিষয় হল করতোয়া প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে আমি এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করি এবং ক্যামেরাবন্দি করি।

প্রথমেই আমি বলেছিলাম আমি কিছু লিখতে গিয়েও পরে লিখতে পারিনি কোন এক কারণ বশত। 

তবে করতোয়ার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার ১২ দিন পর একটি কারণে আমি হাসপাতালে যাই এবং সেইদিন লক্ষ্য করি অতীতের তুলনায় রোগীদের আরো বেশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের হাতে। 

এ অবস্থা দেখে আমি প্রায় ৩০ মিনিট ওখানে অবস্থান করি এবং লক্ষ্য করতে থাকি, যখনই কোন রোগী ডাক্তার দেখিয়ে স্লিপ হাতে বেরিয়ে আসেন তখনই কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ জন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সঙ্গে সঙ্গে পথ রোধ করে দাঁড়ান, এবং তাদের হাত থেকে ডাক্তারের লিখিত রশিদ নিয়ে নেন। এতে করে কিছু গ্রামের সাধারণ রোগীরা হতো ভেম্বল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অনেকে আবার মনে করেন শুভাকাঙ্ক্ষী। দেখতে থাকেন আশার আলো। এই আশার আলো নিমিষেই শেষ হয়ে যায়, যখন তার হাতে থাকা ডাক্তারের লিখিত প্রেসক্রিপশনটি তাদের মোবাইলে ক্যাপচার হওয়ার পর আবার নিজের হাতে ফিরে আসে। সেই মুহূর্তে রোগী কোন কিছু জিজ্ঞেস করলেও ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি কোন আসার উত্তর দিতে পারে না। কেননা তারা শুধুমাত্র তার পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে ছিল তাদের নিজেদের স্বার্থে।

আবারও কিছু কিছু রোগী দেখা যায়, তারা নিজেদের খুব ব্যস্ততার কথা বলে বা কোন জরুরী কাজের কথা বলে ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের এড়িয়ে যান, তখন আমি বুঝতে পারি হয়তোবা তিনি এই হাসপাতালে এর আগেও কয়েকবার এসেছেন। পূর্বেই এ ধরনের হেনস্তার সম্মুখীন হয়েছেন। বিধায় তার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এ কারণে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের এড়িয়ে চলে যান।

আমার কথা এইটা না মূলত আমরা দরিদ্র দেশে অবস্থান করি এখানে বেকার সমস্যাটাই প্রধান বোঝা বলে মনে করা হয়। আর এর সুযোগটাকেই  কাজে লাগিয়ে কিছু সুযোগ সন্ধানী কোম্পানি অতিরিক্ত চাপে এই প্রতিনিধি ভাই গুলো এগুলো করে থাকেন। 

আমার কথা এইটা না আমার কথা গুলো কিছু প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পায় না এবং মিলাতে পারিনা কোন হিসাবঃ

  • ১) মৌলিক পণ্যের গুণগত মান ভাল হলে অসৎ উপায়ে মার্কেটিং করার প্রয়োজন আছে কি না?
  • ২) ওষুধের পরিচিতি কেন ডাক্তারের চেম্বারে গোল টেবিলের বৈঠকের মধ্য দিয়ে করতে হবে?
  • ৩) যেকোনো কোম্পানির ঔষধ পরিচিতি সেই কোম্পানির লিফলেট ডাক্তারের কাছে পৌঁছে দিয়ে  ওষুধের পরিচিতি করা সম্ভব কিনা?
  • ৪) ওষুধের পরিচিতি করার জন্য ডাক্তারদের সঙ্গে তাদের সরাসরি সাক্ষাৎকার প্রয়োজন হয় কেন? 
  • ৫) ওষুধের প্রতিনিধি দল যে সময়টাই ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এ সময়টা পুরোপুরি জনসাধারণের। ডাক্তাররা কিভাবে এই সময়গুলোকে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য ব্যয় করতে পারেন? 
  • ৬) একই ডাক্তার যখন কোন রোগী দেখেন রোগী সময় পায় এক থেকে দুই মিনিট অথচ ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি সময় পান প্রতিজনে কম পক্ষে ১৫ মিনিট।
  • ৭) কিছু কিছু ডাক্তার যখন নিজের চেম্বারে রোগী দেখেন তখন প্রতি রুগী চার্জ ধার্য করেন নূন্যতম ১০০০ টাকা। রোগী সময় পান ৩ থেকে ৫ মিনিট। আবার কোন ঔষধ প্রতিনিধি তার নিজ বাসায় বা চেম্বারে ঔষধ পরিচিতির জন্য সরাসরি সাক্ষাতে সময় পান কমপক্ষে ৩০ মিনিট কোন ফি ছাড়াই তবে কিসের বিনিময়।
  • ৮) ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বারে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের সিডিউল লম্বা না করে। সরকারি হাসপাতালে সরকারি সময়ে জনসাধারণের সময়ে ওষুধ প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের সিডিউল লম্বা করেন কেন?
  • ৯) চোখের সামনে কোন সাংবাদিক অনিয়ম ধরিয়ে দেওয়ার পরও একজন হাসপাতালের ইনচার্জ সরাসরি ব্যবস্থা না নিয়ে কেন বলেন এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • ১০) ডাক্তারদের লিখিত প্রেসক্রিপশন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ক্যামেরাবন্দি করার কারণ কি?
  • ১১) কোন ডাক্তার কি ঔষধ লিখছেন কোম্পানি প্রতিনিধিদের তার হিসাব রাখতে হয় কেন?
  • ১২) ডাক্তার রা একই গ্রুপের ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন রোগীকে ভিন্ন  ভিন্ন কোম্পানির ঔষধ লিখে কেন?
  • ১৩) কোন ডাক্তারের পক্ষে কি সম্ভব ১২ নং এই প্রক্রিয়ার সঠিক ও মান সম্মত ঔষধ নির্বাচন করা।
  • ১৪) ঔষধের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে কোন লিফলেট ডাক্তারের আদৌ পায় কি না।
  • ১৫) বর্তমানে ভুল চিকিৎসা ভুল ঔষধ প্রয়োগে রোগীর মৃত্যু যেন স্বাভাবিক। এই খবর পুরনো হয়ে হারিয়ে যায় জন্ম হয় নতুন খবর কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট কোন এক ধুলো মাখা আলমারিতে উঁইপুকার খাদ্য তালিকায়। 

সমাধান কোথায়?

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.