Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

আমিও বিশ্বাস করি হুজুরের ত্যাগের বিনিময়ে এদেশে সূর্যের আলো ফুটবে আবার "ইনশাল্লাহ"।

শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্মরত সহকারি রেজিস্টার জনাব ডাঃ মুক্তাদির হোসাইন এর টাইমলাইন থেকে-------

CCU তে কর্তব্যরত থাকায় আমার উপর সাঈদী হুজুরের চিকিৎসার দায়িত্ব ছিল। সাথে সিনিয়র স্যাররাও ছিলেন। প্রায় ঘন্টাখানেক উনার History taking & Physical examination & ECG করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে BSMMU তে রেফার্ড করেছিলাম। এর মধ্যেই মাগরিবের আজান শুনে সঙ্গে সঙ্গেই নামাজ পড়লেন। ওযু আছে এমন কেউ উনার সাথে জামায়াতে শরীক হয়ে নামাজ পড়তে চায় কিনা বলার পর একজন পুলিশকে নিয়ে দুজন মিলে নামাজ পড়লেন। চিকিৎসা ও বিভিন্ন কথাবার্তা শেষে সিভিল সার্জন স্যারসহ সিনিয়র সকল স্যারগণ দোয়ার আদানপ্রদান করে ঢাকায় রেফার্ডপূর্বক উনাকে বিদায় দিয়েছেন। আমি আমার জন্য ও আমার পুত্রের জন্যও আলাদাভাবে দোয়া চেয়েছি। উনার প্রতি সব স্যারদের, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কারা কর্তৃপক্ষের লোকজনের অত্যধিক শ্রদ্ধা ও বিনয় দেখে অনেকটাই অবাক হয়েছি। সিনিয়র সব স্যাররা এবং সরকারি কর্মকর্তানৃন্দ অত্যন্ত সম্মানের সাথে সাঈদী হুজুরকে স্যার বলে সম্বোধন করেছেন। সাঈদী হুজুর সিভিল সার্জন স্যারের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, বাবা তোমার প্রতি এবং সবার প্রতি আমার কেবল একটা অনুরোধ, তোমরা কেউই নামাজ ছাড়বা না। কখন কার মৃত্যুর ডাক পড়ে যাবে তার কোন ঠিক নাই। কেউই নামাজ ছাড়বে না তোমরা বাবারা। সিভিল সার্জন স্যার বললেন, স্যার আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, আমার জন্য দোয়া করবেন। সাঈদী হুজুর বললেন, অবশ্যই দোয়া করবো, তোমরাও আমার জন্য দোয়া করবে। সিভিল সার্জন স্যার ও আমি কাউন্সেলিং শেষে ঢাকায় রেফার্ডের কথা জানালে হুজুর বললেন, ঢাকায় নেয়া লাগবে না, আমাকে আমার বাসায় পৌঁছে দাও। আমি নিভৃতে আল্লাহর ইবাদত করতে চাই। তোমরা আমার থাকার জায়গায় পৌঁছে দাও, অন্য কোথাও পাঠানোর(রেফার্ডের) প্রয়োজন নাই। আমি নিভৃতে ইবাদত করতে চাই। ধীরে ধীরে এই কথাগুলো কয়েকবার বলেছেন।

রুমে এতো মানুষ থাকার পরও
স্বল্প সময়ে হুজুরের কথাবার্তায় ও আচরণে এক পিনপতন নিরবতার মতো অনেকটা সম্মোহনী পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। এর আগে আমার কখনো হুজুরের এতো কাছে যাওয়ার সুযোগ হয় নি। এতোদিন শুধু মানুষের কাছে শুনেছি। চিকিৎসা দিতে গিয়ে এগুলো স্বচক্ষে অবলোকন করলাম রবিবার সন্ধ্যায়। দলমত, ধর্মবর্ণ, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-অধস্তন কর্মচারী নির্বিশেষে সকল মতাদর্শের মানুষ কিভাবে একটা মানুষের এতো ভক্ত হতে পারে তা ভেবে পাই না। তবে ১ ঘন্টার মধ্যেই হুজুরের আচরণ ও ব্যক্তিত্বের যে প্রখর প্রভাব দেখলাম এবং এতো অসুস্থতা ও ম্যাসিভ হার্ট এটাক নিয়েও যে কনফিডেন্স, মানসিক শক্তি আর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল লক্ষ্য করলাম, তা হয়তো উনার মতো মানুষের পক্ষেই সম্ভব। আল্লাহ্ উনাকে ও আমাদেরকে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।।

সন্ধ্যা ৬.১০ থেকে ৭.১০(প্রায়);
১৩ আগষ্ট, ২০২৩ ইং,
সহকারী রেজিস্ট্রার,
কার্ডিওলজি বিভাগ,সিসিইউ/আইসিইউ
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.