শওকতের "আসমানী" কথিত উন্নয়নের ছোঁয়া যাদের স্পর্শ করতে পারেনি।
কথিত উন্নয়নশীল বাংলাদেশেও আবারো দেখা মিলেছে কবি জসীমউদ্দীনের সেই আসমানী কবিতার ভেন্যি পাতার ছাউনি ঘর। নোয়াখালীর কবিরহাটের পূর্ব সোনাদিয়া গ্রামে এই ঘরটি উঠে আসে মানবিক পুলিশ শওকতের প্রতিবেদনে।
একটি নামমাত্র ঘর যার ছাউনি দেওয়া হয়েছে ট্রিপল এর মাধ্যমে, বেড়া দেওয়া হয়েছে খড়কুটো দিয়ে। বিছানায় শুলে দেখা যায় আকাশের বিচিত্রতা, বৃষ্টিতে ভিজে যায় স্বপ্ন। পাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় সদূর অনন্ত।
দুই সন্তান সহ এখানেই বসবাস আসমানীর।
দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পরপরই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে ফেলে চলে যায় স্বামী হারুন।
এরপরে আসমানী কোন উপায় না পেয়ে রাস্তার পাশে খড়কুটো দিয়ে ঘর বানিয়ে সন্তানদের নিয়ে মাথাগুজার ঠায় খোঁজেন।
সৈকতের সেই আসমানীর নাম নাসিমা বেগম যিনি তার এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী বড় মেয়ে এবং তিন বছরের ছোট সন্তানকে নিয়েই এই জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করেন। কিশোরী মেয়ে এবং নিজের ভয় আছে জেনেও এই উন্মুক্ত ঘরেই বসবাস করে আসছেন নাসিমা বেগম।
নেই কোন উঠোন, রান্না বান্নার কোন স্থান, নেই কোন খাবার পানির ব্যবস্থা। গৃহস্থালির যেকোনো কাজ করতে হয় ঘরের পাশেই থাকা ময়লাযুক্ত ডোবার পানি দিয়ে।
পাশেই জঙ্গলে গর্ত করে বস্তার বেড়া দিয়ে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই কিশোরী মেয়ে সহ দুই সন্তান নিয়ে মানবেতার জীবনযাপন করলেও চোখে পড়েনি সামর্থ্যবান প্রতিবেশীদের, স্থানীয় প্রতিনিধি এমনকি কোন দাতা সংস্থার।
তবে সাম্প্রতিক বেওয়ারিশ ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।
সংস্থাটি ঘর সহ টিউবয়েল এবং টয়লেট স্থাপন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে এই প্রতিবেদনে।
মন্তব্য:
তাহলে কি আমরা ভাবতেই পারি নোয়াখালীর কবির হাটে সোনাদিয়া গ্রামে এ পর্যন্ত কোন সরকারি অনুদান পৌঁছাইনি, যদি সরকারি অনুদান পৌঁছে থাকে তাহলে এ অনুদান পেয়েছে কারা। সরকার অনুমোদিত এতগুলো বরাদ্দকৃত ঘর নোয়াখালী কবির হাটে একটিও পৌঁছাইনি! যদি কবির হাটে ঘর হয়ে থাকে তা কাদের নামে হয়েছে।
No comments