Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

"স্বাধীনতা দিবসের নামে বীর সন্তানদের সাথে ঠাট্টা মশকরা" এ কেমন অকৃতজ্ঞ বাংলা জাতি আমরা।

 

আমাদের স্বাধীনতা কেমন জানি কিছু খবরের কাগজে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে স্বাধীনতা শব্দের মাধ্যমে শিকলে বন্দি থাকার মত। 
কেমন জানি আমরা নিজেকে পরিবর্তন করতে পারলাম না। সেই পুরনো মরিচিকা আমাদেরকে ঘিরে ধরে আছে, আমরা যেন এক হুজুগে বাঙালি।

সবাই দিনগুলোকে উদযাপন করে তাই আমিও করছি, এ যেন এক রীতিনীতি মাত্র। এই দিবস গুলো কেন এসেছে, কাদের জন্য এসেছে, কেন আমরা পালন করব, কিভাবে পালন করব। 
বর্তমান আমাদের বাঙালি ৬০% মানুষ এই বিষয়গুলো জানেনা।

এই দায়িত্ব গুলো কার, কারা এই দায়িত্বগুলো নেবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা কাদের।

হ্যাঁ বলতে পারেন আমরা স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করেছি "বাংলার ইতিহাস"। তখন আমি বলব আপনি কি শিক্ষাকে ১০০% করতে পেরেছেন।

যদি ১০০% করতে না পারেন তাহলে শুধু পাঠ্যপুস্তকে এই ইতিহাস গুলো সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন দিবসে নতুন প্রজন্মদের মাঝে এই ইতিহাস গুলো প্রতিষ্ঠা করা কাদের দায়িত্ব। 

আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আমি দেখি আমাদের দেশ পরিচালনায় যেই রাজনৈতিক দলে ক্ষমতা আসেন, এই দিন গুলোকে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করে দলীয়করণ করার জন্য। এই দিবসগুলোতে নেতাদের মুখে শুধু থাকে রাজনৈতিক কথা ঝুরি। একে অপরকে দোষারোপ, একে অপরের কুৎসা রটনা ব্যতীত এই দিবস গুলোতে শিক্ষামূলক কোন কথা আদৌ খুঁজে পাইনি।

সে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা বারবার চেষ্টা করেছে ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে গড়তে। তারা এতটাই নির্বোধ যে তারা জানে না ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাইলে করা যায় না। ইতিহাস ইতিহাসের মতোই চলতে থাকে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কেমন জানি দেশের জনগনের কথা না ভেবে, দেশীয় উন্নয়নের কর্মকান্ড রেখে পরিবার তান্ত্রিক গুনোগান টা বেশি ফোলাও করতে চাই।
যা শুধু নিজেদেরই বিড়ম্বনা বয়ে নিয়ে আসে, একটা পর্যায়ে দেশের মানুষগুলো বিরক্তি অনুভব করতে থাকে।

কেননা সম্মান জোর করে পাওয়া যায় না। যার যতটুকু সম্মান পাবার কথা তারা ততটুকুই সম্মান পাবে, সম্মান আসে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে।
এই বিষয়গুলোকে আপনারা যত বেশি নাড়াচাড়া করবেন। এতে করে সেই সম্মানী ব্যক্তি গুলো মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্নে পরিণত হবে। এটাই চিরন্তন সত্য কথা।

রাজনৈতিক দলগুলো ইতিহাসের উপরে তাদের আধিপত্য রক্ষা করতে গিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এইটা শুধু নিউজ মিডিয়াতে নয় পাঠ্যপুস্তকেও লক্ষ্য করা যায়।
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মনমানসিকতা এতটাই সংকীর্ণ যে,
আমাদের দেশের জন্য অনেকেই অবদান রেখেছেন এবং তারা অনেক সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচিতি পায়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কেমন জানি আমরা সেই সম্মানী ব্যক্তি গুলোকে আলাদা কোনো এক জায়গায় রেখে রাজনীতি করতে পারিনা। এমনকি আমাদের অনেক বীর সন্তানেরা আছেন, তারা স্বেচ্ছায় নিজেদের অবদান রেখেছেন আমাদের বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, কিন্তু তাদেরকে সেভাবে স্মরণ করতে আমি দেখিনা কোন রাজনৈতিক দল কেই। কেবলমাত্র কোন এক দিবসে যতটুকু সম্মান না করলে জাতির কাছে অপরাধী হতে হবে এই টুকুই সীমাবদ্ধ থাকে।

রাজনৈতিক দলগুলোর এমন দ্বৈত নীতি এবং আধিপত্যের কারণে বর্তমান নতুন প্রজন্ম গুলো ইতিহাসের সঠিক-মিথ্যা যাচাই করতে গিয়ে ইতিহাস বিমুখ হয়ে পড়ছে।

নতুন প্রজন্ম গুলো আমাদের বাংলার ইতিহাস থেকে এতটাই বিমুখ হয়ে পড়েছে যে আমরা তার সরাসরি উপলব্ধি করতে পারি।

আমি দেখেছি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও অনেকেই জানেনা কোন দিনটি আমরা ভাষার জন্য উৎসর্গ করেছি। কোন দিনটিতে আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। কোন দিনে আমাদের এই বাংলাদেশ বিজয় উদযাপন করে।

এসবের পেছনে কোন কোন বীর সন্তানদের অবদান। কিভাবে পেয়েছি আমাদের এই প্রাপ্য গুলো। 
আমি নির্বাক বলার মত ভাষা আমি খুজে পাইনা।

কি বলবো যখন একটি দেশে মুখ্য উদ্দেশ্য কে ব্যতিরেকে সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের নামে নর্তকীর নিত্য, কালচারাল প্রোগ্রাম এর নামে বেহায়াপনা উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নোংরামি রেকর্ড পর্যায়ে চলে যায়, সেই দেশের নতুন প্রজন্ম ইতিহাসকে খুজবে তো দূরের কথা, শিক্ষাব্যবস্থা এমনই দৈন্যদশা যে, তারা আমি জিপিএ ৫ পেয়েছি এই কথা বলতে গিয়ে বলে:
I am GPA 5. 

২১ ফেব্রুয়ারিকে বলে বিজয় দিবস।
১৬ই ডিসেম্বর কে বলে স্বাধীনতা দিবস।
২৬ শে মার্চকে বলে ভাষা দিবস।

তাই আমি আর অবাক হই না। 

এ তো গেল চিরাচরিত একটি সমস্যা। কিন্তু আমাদের নিজেদের সাম্প্রতিক তৈরিকৃত সমস্যাগুলো কি দিয়ে ডাকবো। 

যে স্বাধীনতা দিবসে আমরা উদযাপনকে উপলক্ষ্য করে এত আয়োজন করছি আদৌ কি, সেই স্বাধীনতা আমাদের ভেতরে আছে আমরা কি এই স্বাধীনতাকে বুকে ধারণ করতে পেরেছি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আমরা কি নিজেদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পেরেছি।

যে দেশে মন খুলে কথা বলার মত সাহস মানুষের থাকে না। যে দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরাই হাজারো করাপ্ট্যাটে জর্জরিত। যেই দেশে দেশ রক্ষীবাহিনী নিজেদের রক্ত নিজেরাই চুষে। যেই দেশে ছোট্ট মেয়েরা ধর্ষিত হয়, ধর্ষণকারীরা রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া পায়। 

যে দেশে জনসাধারণ তো দূরে থাক।ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত নেই। যে দেশে পত্রিকা খবরের হেডলাইন প্রতিদিন ধর্ষণ খুন এবং চিরাচরিত দুর্নীতির মোটা অক্ষরে লেখা থাকে।

যে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা রাতারাতি পাচার হয়। বড় বড় দুর্নীতিবাজ মুক্ত মঞ্চে ভাষণ দেয়। যেই দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা যখন মুখ্য হয়, জবাবদিহিতার কোন বালাই থাকেনা।

সেই দেশে যদি আপনি আমি বলি আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, হ্যাঁ সত্যিই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, আমাদের বীর সন্তানেরা আমাদেরকে আমাদের প্রাপ্যটা এনে দিয়েছে।

তখন তো বলতেই হবে আপনি কি করেছেন, আমি কি করেছি। সেই ভাষা থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পর্যন্ত এত প্রাপ্তি আমরা কি ধরে রাখতে পেরেছি।

তবে এখন কি আপনি স্বাধীন?
বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন?
আপনি কি স্বাধীনতার সংজ্ঞা জানেন?

আমার কাছে মনে হয় এই দিবস গুলো পালন করা আর আমাদের সেই বীর সন্তানদের সাথে ঠাট্টা মশকরা করা ছাড়া আর কিছু না বৈকি।


(ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত মতামত আমার মনের অব্যক্ত কথা।)

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.