Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

"গর্ভবতী মা ও সন্তান" আমরা কি জেনেশুনে পঙ্গুত্ববরণ করছি?



আমরা সাধারণত ভাবেই গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য খুব স্বচেতন থাকি। কিন্তু আমরা কোন কিছুতেই বুঝতে চেষ্টা করি না বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছে এক শ্রেণীর মানুশ রুপী পশুরা। এ নাটকীয়তার আমাদের দেশে নতুন হলেও উন্নত দেশ গুলোতে এগুলো অনেক পুরনো ইতিহাস। বিশ্বের যে কোন উন্নত দেশে বর্তমানে সন্তান প্রসব কালে সিজার পদ্ধতি থাকলেও তারা এই সিম্ফিজিওটমি পদ্ধতি অনেকাংশে বর্জন করেছে। সিম্ফিজিওটমি সম্পূর্ণরূপে বর্জন করলেও সিজার পদ্ধতি মাঝে মাঝে দেখা যায়, মায়েদের যখন খুব ক্রিটিক্যালি অবস্থা থাকে তখন সিজার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। 

সেখানে আমাদের বাংলাদেশ সিম্ফিজিওটমি এবং সিজার পদ্ধতি আমাদের হাসপাতাল ক্লিনিক এমনকি গর্ভবতী মায়েদের কাছে যেন একটি চিরাচরিত নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। 

সিজার পদ্ধতি আমাদের অনেকের জানা থাকলেও, সিম্ফিজিওটমি  কিন্তু আমরা সাধারন মানুষগুলো বেশিরভাগ মানুষই জানিনা।

আমরা অনেকেই জানিনা আধুনিক বিজ্ঞানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েদের সন্তান জন্মদানে বিজ্ঞান খুব জোরালো ভাবে বলেছে, কোন ক্রিটিক্যাল মোমেন্ট না আসলে মায়েদের প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করা উচিত।

তবে আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে আমরা এটি লক্ষ্য করতে পারছি বেশিরভাগ ফ্যামিলি এখন গর্ভবতী মায়েদের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে সিজার করতে অস্বীকৃতি জানায় কারণ সবাই এখন অনেকটাই স্বচেতন।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে সাধারণ ভাবে সন্তান প্রসবের কথা বললেও তারা কিছু টাকার লোভে কিছু টাকার বিনিময়ে সন্তান প্রসবে সিম্ফিজিওটমি পদ্ধতি ব্যবহার করছে। এই পদ্ধতি আমরা সাধারন মানুষ অনেকেই পরিচিত না। কিন্তু এই পদ্ধতি একটা মায়ের জন্য আজীবন পঙ্গুত্ব বয়ে আনতে পারে।


সিম্ফিজিওটমি পদ্ধতিটি কি?

এ পদ্ধতি হচ্ছে একটা গর্ভবতী মা তার সন্তান প্রসবের সময় সন্তান প্রসবের দার কেটে বড় করে সহজেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে সহযোগিতা করে।

এই কথাটি শোনার পর আমাদের কাছে খুব সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানের ভাষায় তা মোটেও সহজ নয়। 
কেননা বিজ্ঞান বলছে ঃ
প্রত্যেকটি মায়ের সন্তান প্রসব দার যেখানে পিউবিক সিম্ফিজিস যে জয়েন্টি পেলভিস কে একত্রে ধরে রাখে। আর সিম্ফিজিওটমি হল এমন একটি অস্ত্রোপ্রচার যার মাধ্যমে এ জয়েন্টকে আলাদা করে দেওয়া হয়।
আর এই অস্ত্রোপচার করা হলে একজন মায়ের প্রসব দারে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে এবং এ যন্ত্রনা বয়ে বেড়াতে হতে পারে আজীবন।

আমরা অনেকেই জানিনা বর্তমানে কিছু ব্যাবসায়িক ক্লিনিকগুলোতে এবং বেসরকারি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি তে সুস্থ সবল গর্ভবতী মায়েদের ফ্যামিলিকে বাধ্য করা হয় গর্ভবতী মায়ের সিজার অথবা সিম্ফিজিওটমি করানোর জন্য। এখানে একজন মায়ের সাথে কি কি হয় যদি কেউ জানতে পারে আমার বিশ্বাস কোন গর্ভবতী মা বা তার ফ্যামিলি এইভাবে আর সন্তান প্রসবের আগ্রহ হবেন না।

এ বিষয়টি শুধু আমাদের দেশে না এটি একটি পুরনো বিষয় দেশের বিভিন্ন দেশেও হয়ে থাকে। আমার কথা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শেখানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারদের পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে এটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। 
এমন কোন গর্ভবতী মাকে নির্দিষ্ট করা উচিত না যে মা সম্পূর্ণরূপে সুস্থ এবং সুস্থভাবে সন্তান জন্মদানে সক্ষম।

আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে উপস্থিত থেকে প্রকৃত অবস্থায় শিক্ষা নিতে হবে এটাই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা। কাউকে হেনস্থা বা আজীবন পঙ্গু করে শিক্ষাদানের কোনো বৈধতা নেই।

একটি উন্নত দেশ আয়ারল্যান্ড, এই দেশে ১৯৪০ থেকে ১৯৮০ (আশির দশক) পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ মহিলা এই সিম্ফিজিওটমি অপারেশনের শিকার হন।

এইরকম অপারেশনের ভুক্তভোগী একজন মহিলা রিটা ম্যাকক্যান তার সাক্ষাৎকারে বলেন সেই দিনটির কথা আমার এখনো মনে পড়ে যেদিন আমার প্রথম সন্তানের জন্মদানের আনন্দটা একদমই নিরানন্দতে পরিণত হয়।

এটি ছিল ১৫ ই ডিসেম্বর ১৯৯৭ সাল যখন তিনি আইল্যান্ডের ডাবলিনের একটি হাসপাতালে প্রসব করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন একটি একক বিছানা সহ আমাকে ধরে নেওয়া হয় একটি কক্ষে। আমি কক্ষে প্রবেশ করতেই মেডিকেল ছাত্র এবং ডাক্তার পূর্ণ দেখতে পাই আমার কক্ষটি। আমি তখন অনেকটাই অচেতন অনেকটা বুঝতে পারি অনেকটাই ঝাপসার মত। 

আমি বুঝতে পারলাম আমাকে অচেতন করা হয়েছে তবে সম্পূর্ণভাবে নয়। 
সেইদিন আমার সাথে কি করা হয়েছে আমি সম্পূর্ণ বলতে না পারলেও অনুভব করতে পারি কেননা আমার সন্তান প্রসবের দার এতদিন পর পর্যন্ত আমি ব্যাথা অনুভব করি।

সেখানে উপস্থিত থাকা সেদিনের সেই ডাক্তার তার ছাত্রকে বলছিল দেখবে আগামীকাল সকালে তার সুন্দর সন্তানের মুখ দেখলে সে সব ভুলে যাবে। তখন ছাত্রটি বলছিল তাই বলে কি সে তার আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে নেবে। আমি কতটা এখন সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারি কেন কিভাবে আমি পঙ্গুত্ব বরণ করলাম।

এই আইরিশ মহিলা রিটা ম্যাকক্যান বলেন এটি কোন সন্তান প্রসবের পদ্ধতি হতে পারে না। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি গর্ভবতী মায়ের উপরে নির্যাতন মাত্র।

এছাড়াও ইউএন হিউম্যান রাইটস কমিটি কাছে আর একজন মা তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন:
১৯৭২ সালে তার প্রথম সন্তান জন্মের সময়ে ডাক্তাররা যখন তার ওপর একটি পিউবিওটমি(সিম্ফিজিওটমি সম্পর্কিত একটি পদ্ধতি) করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর।

তিনি বলেন, আমি চিৎকার করছিলাম- এটি কাজ করছে না, আমি বললাম আমি সব কিছু অনুভব করতে পারছি, আমি তাকে করাতের মতো একটি হ্যাক্সস ব্লেড বের করতে দেখেছি সোজা ব্লেড দিয়ে একটি অর্ধবৃত্ত এবং একটি হ্যান্ডেল সহ।

তারা যখন আমার প্রসব দারে জয়েন্ট আলাদা করছিল তখন আমার রক্তে সম্পূর্ণ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। এমনকি ডাক্তারের চশমা এবং আমার কক্ষের ছাদ পর্যন্ত আমার রক্ত পৌঁছায়।

তিনি আরো বলেন এই অস্ত্রোপচার টি ছিল ক্ষমতার অপব্যবহার।

মন্তব্য: আমার দিক থেকে যদি আমি বলতে চাই তাহলে বলব যদি কোন গর্ভবতী মা সুস্থ অবস্থায় থাকেন তাহলে তার পরিবার পরিজন এবং ডাক্তার সেবিকাদের উচিত তাকে প্রাকৃতিক উপায় সন্তান প্রসবের উৎসাহিত করা। 
এরপরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেন যেকোন অবস্থাতেই ইমারজেন্সি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
কিন্তু কোন সুস্থ গর্ভবতী মাকে সুস্থ অবস্থাতে সিজার করা বা সিম্ফিজিওটমি পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করানো আমি মনে করি এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধিই শুধু নয় এটি একজন  মায়ের প্রতি নির্যাতন বলে গণ্য করা যেতে পারে।

আমাদের ইসলাম ধর্মে পরিষ্কারভাবে বলা আছে কোন গর্ভবতী সুস্থ মা কোনভাবেই সিজার বা সিম্ফিজিওটমি পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করতে পারবে না।

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.