Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

মাথার চুল পড়ার কারণ ও সমাধান। একটু সতর্কতার সাথে প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন।



দিন দিন চুল পড়ে যাচ্ছে করণীয় কি একথাটি জানতে চেয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন।

এখানে চুল ঘন কালো মজবুত করে এমন দশটা খাবারের কথা বলব তারপর বলব কোন তেল আর ভিটামিন ট্যাবলেট নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আর শেষে থাকছে চুলের যত্ন নেয়ার সঠিক উপায় ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ।

এখন দশটি খাবার কথা বলব:
১০) যেমন চিনা বাদাম কাঠ বাদাম কাজু বাদাম পেস্তা বাদাম বল নাট এগুলোতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বা ওম্যাগেসিসক ফ্যাট যা চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এই ওম্যাগেসিসক ফ্যাট আমাদের শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না খাবার থেকে নিতে হয়। 
এর অভাবে মাথার চুল পড়ে যায় চুলের রং হালকা হয়ে যায়।  তাই প্রতিদিনই নাস্তায় কিছু বাদাম রাখতে পারেন তবে অনেক পরিমাণে খাবেন না। তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

৯) হলুদ আর কমলা রঙের সবজি এবং ফলমূল। মিষ্টি আলু গাজর আম পেঁপে মিষ্টি কুমড়া এগুলো ভিটামিন "এ" -তে ভরপুর। চুলের গোড়া যেখান থেকে চুল বড় হয় সেইটা ঠিক মতো কাজ করার জন্য দরকার ভিটামিন "এ" আর সেটার খুব ভালো উৎস হলো হলুদ রঙের ফল এবং সবজি। 
দিনে যতখানি ভিটামিন এ দরকার আধা কাপ গাজরের তার অর্ধেকের বেশি চাহিদা পূরণ  হয়ে যায়। তাই দিনে কিছু হলুদ ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

৮) তৈলাক্ত মাছ:  প্রচলিত একটি ধারণা আছে যে omega-3 ফ্যাটের জন্য সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। যেমন টুনা শ্যামিন তবে আমাদের দেশী মাছ যেমন ইলিশ কই মলা চাপিলা এগুলোতেও omega-3 ফ্যাট আছে।

৭)ডিম:  সুন্দর চুলের জন্য ডিম আপনার খুব ভালো বন্ধু কেন বুঝিয়ে বলি, আমাদের চুল শর্করা খাদ্যে  তৈরি পুরোটাই প্রোটিনে তৈরি। আর আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে খাবারে প্রোটিন এর অভাব হলে চুল পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের অনেকেরই খাবারের যথেষ্ট পরিমান প্রোটিন থাকে না।  কারন আমরা সাধারণত ভাতটাই বেশি খায়।  তাই সুন্দর চুলের জন্য খাবারের তালিকায় ডিম রাখবেন আরো কিছু বোনাস আছে যেমন বায়েল্টিম সেলেনিয়াম ভিটামিন-বি১২ ইত্যাদি। এগুলো চুল ঘন কালো ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

৬) পালংশাক: একটা চমৎকার খাবার এতে চারটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যা চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় ভিটামিন এ ভিটামিন সি আয়রন ফোলেট এই সবগুলো ঘন কালো সুন্দর চুলের জন্য প্রয়োজন।

৫)ডাল: সুন্দর চুলের জন্য ডাল খুব উপকারী। ডালে প্রোটিন আছে ভালো পরিমাণে আয়রন আছে আয়রন আমাদের মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ করে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে। আমরা গবেষণা থেকে নিশ্চিত জানি যে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। সুন্দর চুলের জন্য আরও কিছু বনাস আছে যেমন জিং ফুলেট, খুব পাতলা না খেয়ে একটু ঘন করে রান্না করা ডাল খেলে এ পুষ্টি উপাদানগুলো বেশি বেশি পাবেন।

৪) বিভিন্ন ধরনের বীজ: যেমন চিয়া সিডস মিষ্টি কুমড়ার বীজ সূর্যমূখীর বীজ তিসির বীজ  এগুলোতে সুন্দর চুলের জন্য অনেকগুলো চমৎকার উপাদান আছে। যেমন চিয়া সিডস এ আছে  প্রচুর পরিমাণে আল্ফাজিনোনিক এসিড একপ্রকার omega-3 ফ্যাট, মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে জিংক, সূর্যমুখী ফুলের বিচি তে আসে বায়োটিন, তিসির বিচিতে আছে সেলেনিয়াম, গবেষণায় এগুলোর অভাবে চুল পড়ার সাথে সম্পর্ক পাওয়া গেছে। 
সিডস বা বিচি কিভাবে খেতে পারেন, ভাত খাওয়ার সময় তরকারির উপরে একটু বীজ ছিটিয়ে দিতে পারেন,  রাতে টক দই এর উপরে চিয়া সিডস ছিটিয়ে দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সকালে কিছু ফলের সাথে খেয়ে নিলেন।

৩) ছোলা: ছোলায় চুলের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে আয়রন জিংক এবং প্রোটিন। এই তিনটার যেকোনোটার অভাবে চুল পড়তে পারে তাই চুল সুন্দর করতে মাঝে মাঝেই খাবারের ছোলা রাখতে পারেন।

২) টক দই: এইটা প্রোটিনের আরেকটি উৎস। সাথে চুলের জন্য উপকারী আরো কিছু উপাদান আছে যেমন  প্রোটিন এর জন্য মুরগির মাংস ভালো খাবার যেমন কমলা মাল্টা লেবু কিউই ফল এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে সুন্দর চুলের জন্য ভিটামিন সি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পেকে যায় মেডিকেলের ভাষায় এটাকে বলে কর্ডক্রুহেয়ার। আবার ভিটামিন সি এর অভাব হলে শরীরে আয়রন শোষণ করতে পারে না ফলে চুল পড়ে যায়। শরীর নিজে থেকে ভিটামিন সি বানাতে পারেনা তবে টকজাতীয় ফল খেলে সহজে এখান থেকে "সি" নিয়ে নিতে পারে। যেমন একটা কমলা থেকে প্রায় ৮০% চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।  যারা  একটু কম খেতে পারেন তাদের জন্য টমেটো পেয়ারা এইগুলো ভিটামিন সি এর ভালো উৎসাহ হতে পারে।

এই ১০ প্রকারের খাবার চুলের ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়।



                  এখন বলব বাইরে থেকে চুলের পুষ্টি জোগানোর জন্য কি ব্যবহার করতে পারেন। পামকিন সিড অয়েল বা কদুর তেল, চুল পড়ে যাচ্ছে এমন রোগীদের ওপর করা একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে এই তেলটা তিন মাস ব্যবহার করার পরে তাদের নতুন করে চুল গজিয়েছে  এবং চুল আগের থেকে মোটা হয়েছে। তাই কদুর তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনি যে কোন ব্রান্ডের কদুর তেল ব্যবহার করতে পারেন তাতে চুল পড়া ঠেকাতে সাহায্য হতে পারে।

এখন আসি চুল পড়া ঠেকাতে কোন ভিটামিন ট্যাবলেট কার্যকর:
বাজারে অনেক প্রকার ভিটামিন ট্যাবলেট বিক্রি হয় অনেক চমকপ্রদ কথাবার্তা লেখা থাকে সেগুলোতে, তবে বেশির ভাগই পুষ্টিগত গুন নেই অযথা টাকার অপচয়। চুলের জন্য বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদান স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আসলেই ভাল হয়।
তবে এই ক্ষেত্রে একটা ব্যাতিক্রম আছে সেটা হল ভিটামিন ডি। খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া খুব কঠিন। ভিটামিন ডি পাওয়ার সহজ উপায় হল রোদে সময় কাটানো কিন্তু যাদের পক্ষে সম্ভব না, তারা আলাদা করে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেতে পারেন। 

ভিটামিন ট্যাবলেট এর ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন কারন অতিরিক্ত ট্যাবলেট নিলেও চুল পড়তে পারে। যেমন অতিরিক্ত ভিটামিন "এ" ট্যাবলেট এর ফলে চুল পড়ে যায়।

 কিন্তু আপনি হলুদ রঙের ফল ও সবজি খেয়ে শরীরে যতই ভিটামিন ঢোকান না কেন তাতে ক্ষতি নেই।

এখন বলব চুলের যত্নে এমন কিছু ভুল নিয়ে:
A) অনেকে শ্যাম্পু ব্যবহারের পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। এইটা চুলের জন্য ক্ষতিকর। কারণ টা বুঝিয়ে বলি আমাদের চুল ভালো থাকার জন্য চুলের কিছু তেল দরকার হয় যা মাথার তালু থেকে এমনিতেই আসে কিন্তু আমরা যখন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল ধুয়ে ধুয়ে চলে যায়। কন্ডিশনারের কাজ হচ্ছে তেল আবার চুলে ফেরত দেয়া। তাই গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পু করার পর  কন্ডিশনার লাগাবেন।

B) ভিজা চুল ঘুষে ঘুষে মুছবেন না। আমরা অনেকেই গোসল করে তোয়ালে দিয়ে প্রচন্ড জোরে ঘুষে ঘুষে চুল মুছি। এটা   একদম করবেন না। তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে দিয়ে পানি বের করবেন। 

C) ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। এতে চুল নষ্ট হয়।চুল খুব কোঁকড়া না হলে একটু শুকিয়ে যাবার পর চওড়া দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। ভালো হয় যদি চুল বাতাসে শুকাতে পারেন। 

D) হেয়ার ড্রাই দিয়ে চুল শুকাবে না যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয়, সপ্তাহে একদিন এবং খুব কম তাপমাত্রায়  ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাবহার  না করতে উত্তম মনে করি। 

E) খুব বেশি টাইট  করে চুল বাঁধবেন না, যারা খুব টাইট করে চুল বেঁধে রাখেন তাদের চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণেও চুল পড়তে পারে এটাকে বলে ট্রাকশন আলগিসিয়াম।


 শেষে বলছি চুল পড়ার চিকিৎসা কিছু রোগের কারণে চুল পড়তে পারে যেমন থাইরয়েডের রোগ। রক্তশূন্যতা আপনার যদি খাবার দাবার ঠিক থাকে চুলের যত্ন নিচ্ছেন ঠিকমত তাও অনেক চুল পড়ে,

 তাহলে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন তিনি খতিয়ে দেখতে পারবেন কোনো রোগের কারণে এমন হচ্ছে কিনা রোগ ধরা পড়লে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা যাবে।  চুল পড়তে থাকার  আর একটা অন্যতম কারণ হলো অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপিসিয়ার, ছেলেদের মাথায় সাধারণত টাক পড়া শুরু করে। 
 টাক  কপালের দুই পাশ থেকে শুরু হতে পারে, মেয়েদের সাধারণত টাক হয় না কিন্তু চুল পাতলা হয়ে যায়।  মাথায় সিঁথি বড় হয়ে যায় এই দুই ক্ষেত্রেই চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে, ওষুধের নাম হল মিনোক্সিডিল চিকিৎসকের পরামর্শ  অনুযায়ী নিতে পারেন। তিনি দেখতে পারবেন আপনার এই রোগ হয়েছে কিনা এবং কোন ঔষধে ভালো হতে পারে। এছাড়াও আরো কিছু উন্নত চিকিৎসা দেশে হচ্ছে যেমন হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্থাৎ মাথার পেছন থেকে চুলে এনে সামনে বসনো। 

অর্থাৎ বর্তমানে চুলপড়ার অনেক ধরনের চিকিৎসা আছে আপনারা ইচ্ছে করলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারে।

(ডক্টর তাস্নিম যারা)

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.