Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

বাংলার চিত্রকার মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বাংলাদেশ।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

(১২ ডিসেম্বর ১৯৮০ থেকে ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬)




মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ তার রাজনৈতিক মেয়াদ বা সময়কাল ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ভারত থেকে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ এর সময়কাল বিস্তৃত ছিল।  
      
মাওলানা হামিদ খান ভাসানী আজীবন দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন আর এরই সম্মানসূচক মাওলানা হামিদ খান ভাসানীকে মজলুম জননেতা উপাধি দেয়া হয়। 
তিনি জনসাধারণ ছাড়াও কৃষকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান, এবং পূর্বপাকিস্তানে একটি কৃষক সমিতি গঠনে সহায়তা করেন।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বাম দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে প্রায়শই ইসলামিক সমাজতন্ত্র নামে পরিচিত এবং তাকে "দ্যা রেড মাওলানা" ও বলা হয়।
 

আপনি যা এখানে জানতে পারবেন ঃ

১)জন্ম ও শিক্ষা জীবন। 
২)জীবনের প্রথম অধ্যায়।
৩) রাজনৈতিক জীবন।
       ক ) ব্রিটিশ অধ্যায়।
       খ ) প্রথম অধ্যায় (পাকিস্তান)।

৪) স্বাধীনতার যুদ্ধ। 
৫) স্বাধীন বাংলাদেশের কর্মজীবন।
৬) রাজনৈতিক দর্শন। 
৭) সাংবাদিকতা। 
৮) মৃত্যু। 
৯) উত্তরাধিকার।


জন্ম ও শিক্ষা জীবনঃ

মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল শরফত আলী। তিনি ধর্ম শিক্ষা নিতে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।

তার ছাত্র জীবন নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় তিনি একজন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের একজন প্রাক্তন ছাত্র। আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অটোমান সাম্রাজ্যের বিলুপ্তির প্রতিবাদে খেলাফত আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী।

তিনি ১৯৪৭ সালে সিলেটের গণভোটের সময় আসামের মুসলমানদের একটি সফল প্রচার এর নেতৃত্ব দেন যার কারণে সিলেট পাকিস্তান জাতীয় প্রকল্পের অংশ হতে বেঁচে নেই।

মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। যা পরবর্তীতে বর্তমানে আওয়ামী লীগ নামে পরিচিত।

পরে অবশ্য পূর্ব-পাকিস্তানে স্বায়ত্তশাসনের ইস্যুতে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মত এএমএল-এর ডানপন্থী নেতাদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে, তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি নতুন প্রগতিশীল দল গঠন করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা চুক্তি সেন্টো এবং সিএটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সরোয়ারদী সঙ্গেও তার মত ছিল।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সাথে একমত নন।

বামপন্থী শিবিরের মধ্যে আবার দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে যায় একদল মস্কোপন্থী এবং পিকিংপন্থী। ভারতের সাথে পাকিস্তানের ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর তিনি ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের চীনমুখী বিদেশনীতির জন্য কিছু সমর্থন দেখিয়েছিলেন।
কিন্তু পরবর্তীতে ফাতেমা জিন্নাহর সমর্থনে ১৯৬৮ থেকে ৬৯ সালে শাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব প্রদান করেন।

আমেরিকান সাংবাদিক ড্যান কগিন টাইমস পত্রিকায় লেখেন ঃ 
তিনি একজন ব্যক্তি হামিদ খান ভাসানী, যিনি নেতৃত্ব দেন, ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গণঅভ্যুত্থান তা আইয়ুব খানের শাসনের পতন এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা সহ শেখ মুজিবের মুক্তি হয়।
এবং পূর্বপাকিস্তানে আওয়ামী লীগ কোন কার্যকর বিরোধী  ছাড়াই প্রদেশের ১৬২ আসনের মধ্য ১৬০ টি আসনে জয়লাভ করেন এবং এভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

জীবনের প্রথম অধ্যায়ঃ  

মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল শরফত আলী। তিনি ধর্ম শিক্ষা নিতে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।

ভারতের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাহমুদ হাসান দেওবন্দ এবং অন্যান্য প্রগতিশীল ইসলামী চিন্তাবিদদের সংঘ ভাসানীকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
১৯০৯ সালে তিনি টাঙ্গাইলের কাগমারিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।

                                          রাজনৈতিক জীবনঃ

ব্রিটিশ অধ্যায়ঃ
ব্রিটিশ আমলে ১৯১৭ সালে ভাসানী সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। প্রথমে তিনি একজন কর্মী হিসেবে জাতীয়তাবাদী দলের যোগদান করেন। রাজনৈতিক জীবনে মোহাম্মদ আলীর দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হন। ১৯১৯ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় দল কংগ্রেস এ যোগদান করেন।
১৯২০ সালে তিনি গ্রেফতার হন এবং কারারুদ্ধ হন। কারারুদ্ধ মুক্তির পর তিনি খেলাফত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯২১ সালে দাসের অসহযোগ আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। সেই সময় তিনি তার বিপুল সংখ্যক অনুসারীসহ আবারো কারাভোগ করেন।
১৯৩০ সালে তৎকালীন মুসলিম লীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৩৭ সালে ধুব্রি নির্বাচনী এলাকা থেকে আসামের বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচিত হন।
১৯৪৪ সালে এপ্রিল মাসে মুসলিম লীগের বারপেটা অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন যেখানে তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন।
এবং মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার এই নির্বাচনী এলাকায় বিধায়ক হিসেবে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

প্রথম অধ্যায় (পাকিস্তান) ঃ
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর। ব্রিটিশ যখন ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যায়।
১৯৪৯ সালে ২৩শে জুন মাসে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৪৯ সালে ২৪ শে জুলাই তিনি ঢাকার আরমানিটোলা আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সবার আয়োজন করেন। এই সভা আয়োজনের ইয়ার মোহাম্মদ খান বিশেষভাবে অবদান রাখেন এবং অবশেষে ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী শহীদ মিনারের (শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর তিনি চিন্তা করেন আমাদের বাংলা ভাষা নিয়ে। এরই ফলশ্রুতিতে হাজার 952 সালের 31 শে জানুয়ারি তিনি ঢাকা "বার লাইব্রেরীতে" সর্বদলীয় ভাষা আন্দোলন কমিটি গঠন করেন। তিনি পাকিস্তানের বাংলাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো।

১৯৫৩ সালে ৪ ডিসেম্বর মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে "ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট" প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৩ সালে ২১-২৩ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামি মুসলিম লীগের 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নামকরণ করা হয়।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানের কেন্দ্র ও প্রদেশের মুসলিম লীগ সরকার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা হারায়। তৎকালীন মুসলিম লীগ বর্তমান আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা হারানোর পেছনে কারণ উল্লেখ করা হয় বা অভিযোগ ওঠে যে, পূর্ব পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় মুসলিম লীগ আওয়ামী লীগ সক্ষম এবং আগ্রহী নয়।

কারণবশত মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তিনি মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন করে দল গঠনে আগ্রহী হন। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার আগেই মাওলানা হামিদ খান ভাসানীর দল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী একে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি শহীদ সোহরাওয়ার্দী নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট নামে একটি জোট গঠন করেন।

নতুন গঠিত যুক্তফ্রন্ট মুসলিম লীগ কে পরাজিত করে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়লাভ করে।

১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন তাঁর সংসদীয় আসন টি একজন তরুণ ছাত্রনেতা জনাব খালেক নেওয়াজ খান এর কাছে হারানো বা পরাজিত হয় এবং যুক্তফ্রন্ট পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার গঠন করে। যাই হক সেই সরকারকেও নির্বিচারে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

১৯৫৪ সালের মে মাসে তিনি স্টকহোমে যান ইস্কান্দার মির্জার সরকার তাকে পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসতে বাধা দেয়। এবং তাকে একজন কমিউনিস্ট হিসেবে চিহ্নিত করে। 
১৯৫৬ সালে ভাষা নেই ৭ থেকে ২৩শে মে দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের খাদ্যের দাবিতে অনশন করেন।

১৯৫৭ সালের ৭ থেকে ৮ই ফেব্রুয়ারি তে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের কাগমারী সম্মেলনে ভাসানী পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্ব ত্যাগ করেন যা পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেতিবাচক আচরণের ফলাফল হিসেবে দেখা হয়।
১৯৫৭ সালে ২৪-২৫ জুলাই ভাসানী অল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক একটি ব্রিটিশদের সম্মেলন আহ্বান করেন। ২৫ শে জুলাই তিনি পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। এই পার্টিতে ভাসানী সভাপতি এবং মাহমুদুল হক ওসমানী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনঃ
এহতিশাম এর মতে, আজম খান এর পরিবর্তে ফাতেমা জিন্নাহকে মনোনয়ন দেওয়ার বিরোধী সিদ্ধান্তে ভাসানীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
ফাতেমা জিন্নাহ প্রাথমিকভাবে তাকে মনোনীত করার জন্য বিরোধীদের প্রচেষ্টার প্রতি ঘৃণা পোষণ করেছিলেন, তবে ভাসানীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে তিনি তাদের যৌথ প্রার্থী হতে রাজি হন।

ফাতেমা জিন্নাহ এর প্রতি এই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ সমর্থন সত্ত্বেও,
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে বিতর্কিত হতে হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় আইয়ুব খানের চীনপন্থীর কারণে বিরোধী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
এবং সারভাস খান মাঝারি পরে অভিযোগ করেন যে ভাসানীকে জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘুষ দিয়েছিল।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ২-৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্তানে কৃষকদের জন্য সমবায় সংগঠিত করেন। কৃষকদের মনোনয়নে  ভাসানীকে সমবায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।

১৯৬৮ সালে ১৫ই জুন ভাসানী ঢাকা বার লাইব্রেরীতে প্রাদেশিক মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য সমবায় প্রতিষ্ঠা করে।
ঠিক একই বছরে ১২ই অক্টোবর রাষ্ট্রপতি জেনারেল আইয়ুব খানের সরকার তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে।

স্বাধীনতার যুদ্ধঃ

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন স্পষ্ট ভাষী এবং নির্ভিক।  তিনি বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে গিয়েছেন। আপোষহীন ভাবে প্রতিবাদ করে গিয়েছেন শত জুলম নির্যাতনএর বিরুদ্ধে। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিবাদ  করতে গিয়ে কাউকে ছাড় দিয়ে  বলেন নি।  এমন কি মুজিব শাসন আমলেও তিনি ছিলেন প্রতিবাদীর ভূমিকায়। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম একটি স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখেন।  এরি  ধারাবাহিকতায় মাওলানা হামিদ খান ভাসানী পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে  এক সম্মেলনে বলেন আস্সালামুআলাইকুম পাকিস্তান বিদায়।

১৯৫০এর  দশকের গোড়ার দিকে তিনি অনুভব করেছিলেন যে পশ্চিম পাকিস্তানের একক আধিপত্য ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলা মাঝে পূর্ব পাকিস্তান সমন্বিত বজায় রাখা সম্ভব নয়।
কাগমারী সম্মেলনে তিনি আসসালামুয়ালাইকুম বলে পশ্চিম পাকিস্তানকে বিদায় জানান। 
(শীঘ্রই একটি রেফারেন্স স্মৃতিতে পরিণত হয়।)

১৯৬৯ সালে ভাসানী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং শেখ মুজিবের মুক্তির জন্য একটি আন্দোলন শুরু করে।
১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গণঅভ্যুত্থান যে কারণে আইয়ুব খানের শাসনামল পতন হয়েছিল তার এক মাত্র কতৃত্ব ও নেতৃত্ব ছিল ভাসানীর।

১৯৭০ সালে ভাসানী ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা আহবান জানান। 
ভাসানী তার ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাথে টোবাটেক সিং জেলায় ( district of Faisalabad Division in the Punjab province of Pakistan.) ২৩ থেকে ২৫ মার্চ ১৯৭০ সালে একটি আন্তর্জাতিক কিষান সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। সম্মেলনে তিনি পাকিস্তান সরকারকে একটি গণভোট আয়োজন করতে বলেন। জনগণকে জিজ্ঞাসা করেন যে তারা ইসলামী সমাজতন্ত্র চান কিনা?

তিনি সতর্ক করেছিলেন যে সামরিক সরকার তা করতে ব্যর্থ হলে গেরিলা যুদ্ধ হতে পারে।

১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন এই বলে যে এটি শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনকে স্থায়ী করতে সাহায্য করবে ১৯৬৯ থেকে তার প্রিয় স্লোগান ছিল স্বাধীনবাংলা জিন্দাবাদ এবং বাংলা জিন্দাবাদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠত হলে তার একটি স্বাধীন পূর্ব বাংলা স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।

যুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশে থাকতে না পারলেও তিনি ছিলেন অদৃশ শক্তি যা মানুষকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেছে। 

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশেষ কারণে   ভাসানীকে বন্ধি করে ভারতে রাখেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনী তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের কর্মজীবনঃ

ভাসানী দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রগতিশীল শক্তির দ্রুত তাকে ঘিরে ধরে এবং কাজী জাফর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে তার ন্যাপ কে শক্তিশালী করে। তবে অচিরেই প্রগতিশীল শক্তির মধ্যে উপদলীয় মতভেদ দেখা দেয় এবং ভাসানীকে দুর্বল করে দেয়।

স্বাধীনতার পর ভাসানীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক মহিমা  হল ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের অনুষ্ঠিত ওআইসি এর ইসলামী সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি পল্টন মাঠে এক সভায় মাওলানা ভাসানীর জনসমর্থন সংগ্রহ করেন‌। এর আগে সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী সোহরাব হোসেন সমন্বয়ে ছিলেন এরপর মুজিব তার বিশ্বস্ত ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোঃ আলিমুদ্দিন কে নিযুক্ত করেন যিনি ফরিদপুর থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন তারপর ভাসানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে ন্যাপ ভাসানীতে যোগ দেন।

ব্যারিস্টার সালেউদ্দিন তার বন্ধু সাংবাদিক ফজলে লোহানী এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু কে সন্তশ টাঙ্গাইলের দিকে যান যেটি নীলুর লেখা "পাকিস্তান টু বাংলাদেশ" "পলিটিকস অফ ৪৩ ইয়ার্স" বইতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগ ও বাকশাল সরকারের নিপীড়নমূলক শৈলীর অত্যন্ত সমালোচিত ছিলেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে একদলীয় রাষ্ট্রের প্রতি তার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং নিজেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।

১৯৭৬ সালের মে মাসে তিনি একটি বিশাল লংমার্চের নেতৃত্ব দেন যা ভারত কর্তৃক গঙ্গা জলের প্রবাহকে  ভারত কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত করার জন্য নির্মিত ফারাক্কা ব্যারেজ ভেঙে ফেলার দাবি করেন ।
যে ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে বাংলাদেশের পদ্মা নদী শুকিয়ে যায় এবং বাংলাদেশে মরুভূমিতে  পরিণত হয়। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী গঙ্গার জলের ন্যায্য বন্টনের  দাবিতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম জনপ্রিয় আন্দোলন সৃষ্টি করেন। সেই থেকে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৬ ই মার্চ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস পালন করা হয়।

১৯৭৬ সালের ১৬ ই মার্চ সকালে তিনি রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে জনসমাবেশে ভাষণ দেন যেখান থেকে লংমার্চ শুরু হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ কয়েকদিন ধরে পায়ে হেটে ১০০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়েছে মার্চটি ফারাক্কা ব্যারেজের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি একটি স্থান কানসাট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

রাজনৈতিক দর্শনঃ

১৯৫০এর  দশকের গোড়ার দিকে তিনি অনুভব করেছিলেন যে পশ্চিম পাকিস্তানের একক আধিপত্য ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলা মাঝে পূর্ব পাকিস্তান সমন্বিত বজায় রাখা সম্ভব নয়।
কাগমারী সম্মেলনে তিনি আসসালামুয়ালাইকুম বলে পশ্চিম পাকিস্তানকে বিদায় জানান। 
(শীঘ্রই একটি রেফারেন্স স্মৃতিতে পরিণত হয়।)

১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন এই বলে যে এটি শুধুমাত্র পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনকে স্থায়ী করতে সাহায্য করবে ১৯৬৯ থেকে তার প্রিয় স্লোগান ছিল স্বাধীনবাংলা জিন্দাবাদ এবং বাংলা জিন্দাবাদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠত হলে তার একটি স্বাধীন পূর্ব বাংলা স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।

ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক ইসলাম সম্পর্কে বিপ্লবী ধারণার প্রস্তাব করেছিলেন নাসিরুদ্দিন বাগদাদীর অধীনে প্রশিক্ষণের কারণে তিনি রুবুবুইয়াতের ধারণা গড়ে তোলেন।

ভাসানীর সঙ্গে চীন কর্তৃপক্ষের ভালো যোগাযোগ ছিল বলে জানা যায় এবং তিনি পূর্ব পাকিস্তানের চীনাপন্থী রাজনীতিবিদদের নেতা ছিলেন ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধের সময় ভাসানী কয়েক দিনের জন্য  নেই কয়েক দিনের জন্য নিখোঁজ হন কথিত আছে তিনি পাকিস্তানের প্রতি চীনের সমর্থন নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের নির্দেশে বগুড়ার পাঁচবিবি থেকে চীনে  যান।

সাংবাদিকতাঃ

দৈনিক ইত্তেফাক সত্তরের দশকের শুরু থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্র তবে এর পূর্বসূরী সাপ্তাহিক ইত্তেফাক ১৯৪৭ ব্রিটিশরা দক্ষিণ এশিয়া ত্যাগ করার পর মুসলিম লীগ সরকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। শীঘ্রই বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় এবং ভাসানীকে কেন্দ্র করে আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই পটভূমিতে ভাসানী এবং ইয়ার মোহাম্মদ খান ১৯৪৯ সালে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক প্রকাশ শুরু করেন।

১৯৭২ সালে ২৫শে ফেব্রুয়ারি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী একটি সাপ্তাহিক হক কথা প্রকাশ করা শুরু করেন এবং শীঘ্রই এটি ব্যাপক প্রচার লাভ করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম ও শোষণের  কথা ছিল স্পষ্ট।
সবাই মনে করতো  এটি একটি চীনপন্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছিল। সে সময় শেখ মুজিব এই সাপ্তাহিক পত্রিকা টি নিষিদ্ধ করেছিল। এই সাপ্তাহিক পত্রিকা টি সম্পাদনা করতেন ভাসানীর অধীনস্থ ইরফানুল বারী।

মৃত্যুঃ

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও ১৯৭৬ সালে ১৭ ই নভেম্বর তিনি ৯৬ বছর বয়সে বাংলাদেশ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন এবং টাঙ্গাইলে তাকে সমাহিত করা হয়।

উত্তরাধিকারঃ

ভাসানীকে বর্তমান বাংলাদেশ এবং তার বাইরেও তার ভক্তরা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অসাম্প্রদায়িক এবং বামপন্থী রাজনীতির প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ  মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর পরিচিতি তার জীবন বৃত্তান্ত তার কৃতিত্ব এবং ইতিহাস সরকারী স্কুল পাঠ্যক্রমে কমিয়ে দেয়। 
২০০৪ সালে ভাসানী বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির জরিপে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে পর্যায়ক্রমিক স্থান হিসেবে "৪র্থ" সম্মাননা দেন।





ইতিহাস কথা বলে ঃ



References:

 Haq, Enamul (2012). "Bhasani, Maulana Abdul Hamid Khan". In Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A. (eds.). Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second ed.). Asiatic Society of Bangladesh.
 "Bhashani's anniversary of death today". The Daily Star. Retrieved 17 November 2016.
 Uphoff, Norman Thomas; Ilchman, Warren Frederick (1972). The Political Economy of Development: Theoretical and Empirical Contributions. University of California Press. pp. 168. ISBN 978-05200-2062-7.
 Khan, Naveeda (2009). Beyond Crisis: Re-evaluating Pakistan. Routledge. p. 255. ISBN 978-1-136-51758-7.
 Iqtidar, Humeira (2011). Secularizing Islamists?: Jama'at-e-Islami and Jama'at-ud-Da'wa in Urban Pakistan. University of Chicago Press. p. 81. ISBN 9780226384702.
 Uddin, Layli (20 November 2015). "Maulana Bhashani: The Lessons of Freedom". The Daily Star. Retrieved 12 January 2016.
 Khan, Zeeshan. "Take me to my leader". Dhaka Tribune. Retrieved 12 January 2016.
 Rahman, Syedur (2010). Historical Dictionary of Bangladesh. Scarecrow Press. p. 51. ISBN 978-0-8108-7453-4.
 Coggin, Dan (18 April 1969). "Prophet of Violence". Time. p. 41. Archived from the original on 30 September 2007.
 Ehtisham, S. Akhtar (2008). A Medical Doctor Examines Life on Three Continents: A Pakistani View. Algora Publishing. p. 105. ISBN 978-0-87586-635-2.
 List of Members of Assam Legislative Assembly Since 1937 Government of India.
 "Biography of Bhashani". Muktadhara. Archived from the original on 19 April 2014.
 Tirmizi, Farooq (21 February 2011). "The sad history of International Mother Tongue Day". The Express Tribune. Retrieved 24 January 2016.
 Haque, Syed Badrul (26 October 2014). "Remembering Sher-e-Bangla". The Daily Star. Retrieved 11 January 2016.
 Hossain, Mokerrom (2010). From Protest to Freedom: A Book for the New Generation: the Birth of Bangladesh. Shahitya Prakash. p. 127. ISBN 978-0-615-48695-6.
 Ahmed, Salahuddin (2004). Bangladesh: Past and Present. APH Publishing. ISBN 9788176484695.
 Ehtisham, S. Akhtar (2008). A Medical Doctor Examines Life on Three Continents: A Pakistani View. Algora Publishing. p. 66. ISBN 978-0-87586-634-5. Bhashani proposed the name of Miss Fatima Jinnah ... But she despised the opposition leaders ... and summarily dismissed them, telling them that if they had not perversely and ineptly dragged the country to the current deplorable state, they would not be begging her at her age to contest an election ... Bhashani ... was perhaps the only person in the ranks of the opposition for whom she had some respect. He went to see Miss Jinnah alone ... He played on the elderly lady's heart strings, telling her ... your brother made Pakistan, it is up to you to save it ... Miss Jinnah agreed to don the mantle of the savior.
 Mazari, Sherbaz Khan (1999). A Journey to Disillusionment. Karachi: Oxford University Press. p. 150. ISBN 978-0-19-579076-4. Bashani was the first to back out on Miss Jinnah. His excuse at that time was that as China (his party's overseas mentor) had friendly relations with Ayub Khan's regime, he was not in a position to oppose Ayub Khan. Later, however it became an open secret that Bhutto ... bribed Bashani with Rs 500,000 to ensure withdrawal of his support from the COP. Some years later I confronted Bashani with this accusation. The Maulana did not bother to deny it.
 Jalal, Ayesha (2014). The Struggle for Pakistan: A Muslim Homeland and Global Politics. Harvard University Press. p. 158. ISBN 9780674744998.
 Ahsan, Syed Badrul (26 March 2015). "March 26, 1971 … and after". bdnews24.com (Opinion). Retrieved 24 January 2016.
 'Barrister Salehuddin sent Sir Thomas to defend Bangabandhu' —By Muhammad Ali Bukhari Dhaka:Our Time,06/01/2016. Web:OurtimeBD.com -06.01.2016
 Nair, P. Sukumaran (2008). Indo-Bangladesh Relations. APH Publishing. p. 54. ISBN 9788131304082.
 "Bhasani's Farakka Long March". Maulana Abdul Hamid Khan Bhashani by Enamul Haq. Archived from the original on 10 September 2011.
 "Farakka Day Today". The New Nation. Dhaka. 16 May 2010. Archived from the original on 20 February 2016 – via HighBeam Research. The Long March was the first popular movement against India demanding a rightful distribution of the water of Ganges.
 "30th Anniversary of Farakka Long March". The Daily Star. Dhaka. 15 May 2006.
 McDermott, Rachel Fell (2014). Sources of Indian Tradition: Modern India, Pakistan, and Bangladesh. Columbia University Press. p. 883. ISBN 978-0-231-51092-9.
 Anwar, M Tawhidul (2012). "Press and Politics". In Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A. (eds.). Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second ed.). Asiatic Society of Bangladesh.
 Jahangir, Muhammad (15 June 2015). "Manik Miah: A Legendary Journalist". The Daily Star (Op-ed). Retrieved 23 January 2016.
 Jones, Derek (2001). Censorship: A World Encyclopedia. Routledge. ISBN 9781136798634. Retrieved 23 January 2016.
 "Bhashani's 39th death anniversary observed". Dhaka Tribune.
 "Essays and Reports on Bangladesh". Peter Custers on Bhashani.
 "Who Said What After August 15". The Daily Star. 17 August 2014. Retrieved 20 June 2020.
 Alamgir, Mohiuddin (14 January 2013). "Bhashani dropped from Bangla textbooks". New Age. Dhaka. Archived from the original on 11 December 2015. Retrieved 10 December 2015.
 —"Listeners name 'greatest Bengali'". BBC. 14 April 2004. Retrieved 16 April 2018.
—Habib, Haroon (17 April 2004). "International : Mujib, Tagore, Bose among 'greatest Bengalis of all time'". The Hindu.
—"Bangabandhu judged greatest Bangali of all time". The Daily Star. 16 April 2004.
Mazlum Jananeta
Abdul Hamid Khan Bhashani
আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
Maulana Bhasani in Havana, Cuba.jpg
Abdul Hamid Khan Bhashani
Member of Parliament of Pakistan
In office
1954–1955
Governor Iskander Mirza
Member of Parliament of Bangladesh
In office
10 January 1973 – 15 August 1975
President Sheikh Mujibur Rahman
Personal details
Born 12 December 1880
Dhangara, Sirajganj District, Bengal Presidency
Died 17 November 1976 (aged 95)
Dhaka, Bangladesh
Resting place Santosh, Tangail, Bangladesh[1]
Nationality British Indian (1880–1947)
Pakistani (1947–1971)
Bangladeshi (1971–1976)
Political party National Awami Party (since 1957)
Awami Muslim League (1949–1957)

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.