(প্রবাস জীবন_ পর্ব -2) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসে দুইজন কর্মচারীদের মারধরের শিকার হয়েছেন সবুজ নামের একজন প্রবাসী বাংলাদেশী।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসে দুইজন কর্মচারীদের মারধরের শিকার হয়েছেন সবুজ নামের একজন প্রবাসী বাংলাদেশী। দূতাবাসের অভ্যান্তরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন প্রবাসী সবুজ।
সে সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে তাঁর উপর চড়াও হন, হাই কমিশনের দুজন কর্মচারী। পরিস্থিতির এক পর্যায়ে সবুজের পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় হাই কমিশনের কর্মচারীরা।
এ সম্পর্কের মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাই কমিশনার মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার গণমাধ্যমকে জানান, সেবা প্রত্যাশী প্রবাসীর সাথে খারাপ আচরণের দায়ে ইতিমধ্য দুইজন অস্থায়ী কর্মচারী কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দূতাবাসের ভিতরেই ঘটনাটি ঘটেছে, প্রথমেই-
দুজন কর্মচারী সবুজের নিকট আসে এবং তাকে জিজ্ঞেস করে তুমি গালি দিলে কেন. সবুজ বারবার বলছিল আমি আপনাদেরকে গালি দেইনি। আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছি কিন্তু দুজন কর্মচারী সবুজের কথা বিশ্বাস না করে, সবুজকে ডেকে একটি রুমে নিয়ে যাই যেখানে কোনো সিসিটিভি ছিল না এবং সেখানে সবুজকে দুজন মিলে মারধর করে।
সবুজের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ বলেন আমি ফোনে কথা বলছিলাম ,এমতো অবস্থায়, প্রথমে দুই জন কর্মচারী আমার কাছে আসে এবং আমাকে অহেতুক বলে, আমি নাকি তাদের গালি দিয়েছি। আমার উপর রাগান্বিত হয়ে আমাকে হুমকি দেয় আমার পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে পাঠাবে। তখন আমি বলি, কখন আমি গালি দিলাম, আমিতো আমার বন্ধুর সাথে কথা বলছি। তারপরও তারা যখন আমাকে জোর করছিলো, তখন যদিও আমি গালি দেয়নি তবুও আমি বলি- যদি গালি দিয়ে থাকি আমি ক্ষমা চেয়েনিচ্ছি। আমার পাসপোর্ট টা আমাকে দিন কেননা আমার ২৫ তারিখে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আছে।
তারা আমার কথা বিশ্বাস না করে, আমাকে একটি সিসিটিভি বিহীন ঘরে নিয়ে গিয়ে দুজন মিলে মারধর করে।
যা আমি কখনোই কল্পনা করতে পারিনি, কেননা আমরা প্রবাসীদের প্রবাসের শেষ আশ্রয়স্থল ও সহযোগিতার কেন্দ্র হলো আমাদের দেশের এম্বাসি। আমাদের ভালোমন্দ সুযোগ সুবিধা এবং সর্বোত্তম সেবা দেয়াই যাদের কাজ, তাদের কাছেই আমরা নিরাপদ না, তাহলে আমরা যাবো কোথায়।
আমার বলার মতো কোন ভাষা নেই, শুধু নীরবে ভেবেছি আর কষ্ট পেয়েছি, কোন দেশের সন্তান আমরা।
No comments