Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

পরিবার তন্ত্রে অতিষ্ঠ সাধারন জনগণ । সোহেল তাজ থেকে নুরু এরপরে ইশরাক বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির শেষ কবে।

কি আর বলবো কোনটা রেখে কোনটা বলি। তো সবাই যখন স্বার্থপর তখন একটু নিজের স্বার্থের দিকে চোখ রেখেই কথা বলি, কেননা আমি একজন সাধারন পরিবারের সন্তান।

সাম্প্রতিক সময়ে নিউজ পত্রিকাতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরেফিরে একটি নিউজ বারবার চোখের সামনে আসছে। নিউজগুলোর শিরোনাম এরকম ইশরাক হোসেন একজন সম্মুখ যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার সন্তানকে কেন অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হল। ঘটনাটি ঘটে ৬ এপ্রিল ২০২২ ইশরাক হোসেন যখন লিফলেট বিতরণ করতে যান।

ইশরাক হোসেন কে কেন অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হলো এ বিষয়ে একটু পরে কথা বলছি।

ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ২০০১ সালে তাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল তাজ যখন সরকারি দলের বিপক্ষে আন্দোলনে রাজপথে নামেন তখন তিনি নির্যাতনের শিকার হন।

এরপর ভিপি নুরুল হক নুরু যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন সহ অন্যান্য যুক্তিক দাবিগুলো নিয়ে রাজপথে নামেন তখন সরকারি দল নুরুল হক নুরু উপরে অমানবিক নির্যাতন চালায়।

তো এখন আসি আমরা মূল কথায়। আমরা বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই পৃথিবীর কাছে সমাদৃত সাহসী বিচক্ষণ এবং পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে পরিচিত।

কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মন্তব্য কিছু নিউজ বা কিছু কিছু ভাইরাল কন্টেন্ট গুলো দেখে মনে হয় আমরা বোধহয় মনুষত্ববোধ বিবেক নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছি।

ইশরাক হোসেন কে যে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে তা আমি কখনোই সমর্থন করিনা। যেমন আমি সমর্থন করি নি ২০০১ সালে সোহেল তাজের ওপর নেমে আসা নির্যাতনকে। 

যে পুলিশ সদস্য গুলো এমন কাজ করেছে অবশ্য এটা নিন্দনীয় এটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অতি উৎসাহী হওয়ার এখানে কোন কিছুই নেই।

আমি সেইসব বাংলার সন্তানদেরকে বলছি যারা ইশরাক হোসেন কে গালিগালাজ করার সময় আওয়াজ তুলেছেন তারা কি ২০০১ সালে সোহেল তাজের উপরে নেমে আসা নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলেন। আপনারা বলছেন ইশরাক হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাহলে সোহেল তাজ কার সন্তান। একজন মানুষের ন্যুনতম কমনসেন্স থাকলে এ ধরনের কথা বলতে পারেনা।

যে কোন ব্যক্তির পরিচয়; তার নিজের কর্ম দ্বারা। বাবার কর্ম পরিচয় কোন মতে কোন সন্তানের পরিচয় হতে পারে না। আপনার বাবা মুক্তিযোদ্ধা বলে আপনি দেশের ভিতরে যা ইচ্ছে তাই করবেন এটাও হতে পারে না। আপনি কোন ভাল কাজ করলে জনগণ আপনাকে ভালো বলবে, আপনি কোন খারাপ কাজ করলে জনগণ আপনাকে টেনে হিচড়ে নামাবে এটাই স্বাভাবিক।

 বাংলাদেশের মাটিতে যে নোংরা রাজনীতির বিচরণ ঘটেছে এটা থেকে উত্তরণ পাওয়া খুব দুষ্কর। কেননা আমি আমার বাবার কৃতিত্ব জাহির করতে সর্বদা সচেষ্ট।
আমি আমার স্বামীর কৃতিত্ব জাহির করতে সর্বদা সচেষ্ট। 

জনগণকে নিয়ে ভাবার সময় কারো আছে বলে আমি মনে করিনা।

আমি শুধু সোহেল তাজ ইশরাক আর নুরুল হককেই বলছি না। দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদেরও বলছি।

আপনি কেন বুঝতে চেষ্টা করছেন না আপনার বাবা যে কৃতিত্ব রেখে গেছে তাকে মানুষ স্মরণ করবে, আপনি কি রেখে যাচ্ছেন যে আপনাকে মানুষ স্মরণ করবে? আপনার বাবার কারণে আপনাকে কেউ স্মরণ করবে এমনটি ভেবে থাকলে আপনি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।আপনাকে স্মরণীয় করে রাখতে হলে নিজের কর্ম দিয়ে মানুষের কাছে স্মরণীয় হতে হবে।

ঠিক একইভাবে আবারো বলতে চাই আপনি কেন বুঝতে চেষ্টা করছেন না আপনার স্বামী যে কৃতিত্ব রেখে গেছে তাকে মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু আপনি কি রেখে যাচ্ছেন যে আপনাকে মানুষ স্মরণ করবে? যদি ভেবে থাকেন আপনার স্বামীর জন্য মানুষ আপনাকে স্মরণ করবে আপনিও বোকার রাজ্যে বসবাস করছেন।

এর চেয়ে বেশি কিছু বলার ভাষা আমার কাছে নেই।

আমাদের বাংলার মাটি সবার সমান অধিকার ইশরাক হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাকে গালি দেওয়া যাবে না। সোহেল তাজ একজন বড় জাতীয় নেতার সন্তান তার উপরে লাঠিচার্জ করা যাবে না। 

কিন্তু নুরুল হক নুরু একজন সাধারন পরিবারের সন্তান তাকে গালি দেওয়া যাবে, মারা যাবে নির্যাতন করা যাবে, প্রয়োজনে তার বুকে বুলেট পর্যন্ত ছড়া যাবে। এটাই আপনাদের রাজনীতি? যদি এটাই আপনাদের রাজনীতি হয় তাহলে আপনাদের রাজনীতিকে () করি।

প্রতিবাদের ভাষা কখনো এরকম হওয়া উচিত না, প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে একটাই; সবসময় একইরকম, তা হতে পারে পক্ষ দলের কর্মী, হতে পারে বিপক্ষ দলের কর্মী, হতে পারে সাধারণ সমাজসেবী।
আমাদের সবসময়ই নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে বিচার করতে হবে। কেন জানি আমরা একটু স্বার্থপরের মতো হয়ে গেছি। আমরা কেমন যেন একটা পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে গেছি। একটা মানুষের ভিতরে তার পছন্দ থাকতেই পারে তার আদর্শ থাকতেই পারে।

আপনি মেজর জিয়ার আদর্শকে ভালোবাসেন। ওকে ভালো কথা, তাই বলে তার সৃষ্টি করা দলের নেতাকর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না এমন তো না। আপনিও আপনার আদর্শের মানুষের গড়া দলের অন্যায় বলে নীরবতা পালন করবেন এটাও প্রতিবাদের ভাষা না।

আপনি মুজিবের আদর্শ কে ভালোবাসেন। ওকে ভালো কথা কিন্তু তার আদর্শের নামে আপনি দেশের মানুষের সাথে ভন্ডামি করবেন কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না। তার আদর্শের নামে অন্যায় অবিচার নির্বিচারে চালিয়ে যাবেন কেউ কথা বলতে পারবে না এ কেমন রাজনীতি রে ভাই।

যখন নুরুল হক নুরু সাধারণ মানুষের যৌক্তিক দাবিগুলো রাজপথে নিয়ে এসেছিল, আপনারা কয়জন ছিলেন তার পাশে। তার ওপরে যখন অমানবিক নির্যাতন নেমে আসলো আপনাদের মুখ থেকে তো শুনিনি কোন প্রতিবাদের ভাষা।

আপনারা যে নেতাদের কথা বলছেন নির্যাতিত হয়েছে, তারাও কি কখনো নুরুল হক নুরের উপরে চলা নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছে, কেন করেনি? ও নিজের দলের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে নুরুল হক নুর এ কারণে। প্রতিবাদ করলে নিজের শরীরের ওপর এসে পড়বে এই কারণে। বর্তমান বিরোধী দলকে বলব আপনারা কেন নুরুল হকের পাশে এসে দাঁড়ালেন না, রাজনৈতিক ট্যাগ লাগাবে এ কারণে।

সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের যদি আপনার শরীরে কোন ট্যাগ লাগে তো সমস্যা কোথায়? আপনিতো রাজনীতি করতে এসেছেন? রাজনীতিতেই সব কিছু সমাধান করতে হয় এটাই তো রাজনৈতিক পরিচয়। তাহলে নুরুল হক নুরু কে কেন আপনারা মাঠে একা ছাড়লেন।

নুরুল হক নুরু আমার লেখা একটি উদাহরণ মাত্র।
এরকম হাজারো ঘটনা আছে যারা সাধারন মানুষের হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারি দলের রোষানলের শিকার হয়েছে। আমাদের দেশের সরকারি দল কেমন জানি বরাবর নিজের আধিপত্য কে দীর্ঘায়িত করার জন্য ঘৃণ্যতম পন্থা বেঁচে নেয়। তারা বুঝতে চেষ্টা করে না আমরা যদি দেশের জনগণের স্বার্থে কিছু করে থাকি দেশের জনগণ আমাদেরকে অবশ্যই পুনরায় আমাদের উপরে দায়িত্ব দিবেন।

আসলে পরিবারকেন্দ্রিক দলগুলো কখনো জনগণের চিন্তা করেই না, এই কারণে তারা স্বচ্ছতা প্রদর্শন করতে ভয় পায়।

যে কোন সরকার বারবার তার নিজ দলের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা দুর্নীতির সূচক সেই পূর্ব থেকেই দেখছি বেড়েই চলছে কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত বা উপায় কোন সরকার এ পর্যন্ত নিয়েছে বলে আমার মনে হয় না।

অনেক সরকারি বলেছে আমরা দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স আনবো কিন্তু ফলাফল কি? সর্বোপরি আমরা ফলাফল দেখতে পাই জিরো।

সর্বোপরি আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করেন। আমরা যেন কোনো অন্ধ রাজনীতি না করি, আমরা যেন জনগণের রাজনীতি করি। আমরা যেন কোন পরিবারের রাজনীতি না করি, আমরা যেন গরীব মানুষের রাজনীতি করি।

বাংলাদেশে হাজারো যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন যারা আমাদের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে অনায়াসে। আসুন আমরা রাজনৈতিক পরিবেশটা এমন করি যেন সেইসব যোগ্য মানুষগলো
 সুযোগ পায় আমাদের দেশকে নেতৃত্ব দিতে।

৫০ বছরে আমাদের দেশ কি পেয়েছে আমরা কি পেয়েছি আমরা সবাই জানি; এই হিসাব নিকাশ পিছনে ফেলে আজ থেকে আমরা সংকল্প করি। 

আর নয় পরিবার তন্ত্র দেশটা এগিয়ে যাক নতুন নেতৃত্বে। আমাদের নতুন নেতৃত্ব যেন আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো কিছু উপহার দেয়। আমি এবং আপনি বাংলার স্বাধীন নাগরিক হিসেবে একজন যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা আমার আপনার দায়িত্ব।


(আল্লাহ হাফেজ)





No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.