Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)।





প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল এটা আপনাকে কে বলেছে?

উত্তরঃ
১) ডক্টর নীরধ বরণ হাজরা
২) ডক্টর রমেশ চন্দ্র মজুমদার
৩) শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস
৪) নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
৫) সরকার শাহাবুদ্দিন আহমদ 
৬) মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান 


# ডক্টর নীরধ বরণ হাজরা 

১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ২৮ শে মার্চ কলিকাতার গড়ের মাঠে এক বিরাট সমাবেশ করা হয়। (তখন রবীন্দ্রনাথে বয়স ছিল ৫১ বছর।) ঠিক তার দুদিন পূর্বে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছিল। সেখানেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ঢাকা ইউনিভার্সিটি হতে দেওয়া যাবে না। ওই গুরুত্বপূর্ণ সভায় হিন্দু নেতারা উপস্থিত ছিল। নতুন রাজ্য গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন কিনা বা শিক্ষা বিষয়ে করণীয় কি? আলোচনার জন্য এক জনপ্রতিনিধিত্ব পূর্ণ সভা হয়। কলকাতার টাউন হলে উক্ত উভয় সভার সভাপতিত্ব করেছিল রবীন্দ্রনাথ।  

# ডক্টর রমেশ চন্দ্র মজুমদার

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আশুতোষ মুখার্জির নেতৃত্বে লর্ড হার্ডেন্স কে ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিল যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হয়। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে বিদ্রুপ করে বলতো মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়। 

# শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস 

১৯১২ সালে মার্চ মাসে কলকাতার গড়ের মাঠে এক বিশাল মিটিং হয়। যারা কোনদিন কোন মিছিল সমাবেশে যায় না। তারাও গিয়ে মাঠ ভর্তি করে ফেলেছিল। আমাদের মত এত ছোট মিটিং না বিশাল বিশাল মিটিং, সেই মিটিং এর সভাপতি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কিসের জন্য সেই মিটিং জানেন? ইংরেজ গভার্মেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকায় একটা বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তার বিরুদ্ধে ওই মিটিংয়ে। সভাপতিত্ব করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সিদ্ধান্ত হল ঢাকাই যেন ইংরেজ গভর্নমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় না করে। কেন বলুন তো? ঢাকায় পূর্ব বাংলায় তো সব মুসলমানের বাস। মুসলমান লেখাপড়া শিখলে তো কায়েত বর্নের মর্যাদা থাকে না, মান থাকে না, সম্মান থাকে না, মুসলমানের ছেলে ডাক্তার আবার ব্রাহ্মণের ছেলেও ডাক্তার। এটা হলে কি ব্রাহ্মণের জাত মান থাকে? থাকেনা। তাই রবীন্দ্রনাথের মত লোক সে তার প্রতিবাদ করল, আমি তার কথা বেশি বলছি কারণ সে আমাদের কাছেও শ্রদ্ধেয় অন্য কারণে, শ্রদ্ধেয় তবে যখন আমরা এই বিষয়গুলো আলোচনা করি তখন সত্যিকারের ভেতরের ব্যাপারটা পরিষ্কার বোঝা যায় তারা কতবার বলেছিল জানেন এই বাবুরা, ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়েছিল যেন ঢাকাতে বিশ্ববিদ্যালয় না হয়। এই যে মানসিকতা, মুসলমানরা যেন লেখাপড়া না শিখতে পারে, তাদের আমরা নেতা বানাচ্ছি।

 (জন্ম দিন মৃত্যু দিবস আরও কত কি। কিন্ত ভুলে গেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার মুল মহানায়কের নাম।)

# নিরদ চন্দ্র চৌধুরী 

১৯১২ সালে ২৮ শে মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রতিবাদ সভা ডাকে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সরকার। 

# সরকার শাহাবুদ্দিন আহম্মদ 

১৯১২ সালে ২৮ শে মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রতিবাদ সভা ডাকে। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কারণ সে ছিল জমিদার তার মুসলমান প্রজাদের মনে করছে লাইভ স্টক বা গৃহপালিত পশু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে নবশিক্ষিত মুসলমান সমাজকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। কৃষিজীবী সম্প্রদায়ের সন্তানদের শিক্ষিত হয়ে বুদ্ধিজীবী হলে চিরকাল সেবা দাস করে রাখা যাবে না। এ কথা চিন্তা করেই হিন্দু বুদ্ধিজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমমনা হিন্দুরা সেদিন আতঙ্কিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী হিন্দুরা কতটা ক্ষিপ্ত হয়েছিল এর প্রমাণ পাওয়া যাবে সেখানে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য বিবৃতি ও পত্রিকার ভাষ্য থেকে। ১৯১২ সালে ফেব্রুয়ারি সাথে বড় লাটের সাথে বর্ধমানের স্যার রাজবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি মন্ডলী সাক্ষাৎ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করার পক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তি জাল বিস্তার করে। তার যুক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে অভ্যন্তরীণ বঙ্গ বিভাগ এর সমার্থক, তাছাড়া পূর্ববঙ্গের মুসলমান প্রধানত কৃষক, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কোন মতেই উপকৃত হবে না।
"বিপিনচন্দ্র পাল বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে অশিক্ষিত ও কৃষক বহুল পূর্ববঙ্গের শিক্ষাদান কর্মে ব্যাপৃত থাকতে হবে।পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের শিক্ষানীতি ও মেধার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকবে না" 

একই ধরনের তথ্য পাবেন "বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ" বইয়ের ২০১ পৃষ্ঠায়। 

এর বাহিরে আমার সরাসরি শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর সাখাওয়াত আনসারী ক্লাসে বহুবার ব্যাখ্যা করেছেন, কেন রবীন্দ্রনাথের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করাটাই ঠিক ছিল। (কতটা পা চাপা হলে এমন তথ্য দিয়ে ছাত্রদের যেমন ইচ্ছা তেমন বুঝাতে চায়) স্যার রবীন্দ্রনাথের একদম গুণমুগ্ধ ভক্ত।

সে বলেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল পূর্ব বাংলার মুসলমানদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের জন্য। এই চিন্তাটা সাম্প্রদায়িক, বিদ্যা চর্চার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। 

তবে রবীন্দ্রনাথ এই গ্রাউন্ড থেকে বিরোধীতা করে নাই। একথা কেউ কোনদিন বলে নাই। অতিভক্তি থেকে স্যার রবীন্দ্রনাথের অবস্থানের পক্ষে একটাই সাফাই তৈরি করেছে রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে কঠিন ভাবে জাত পাত মেনে চলা হতো। 

কেউ কেউ দাবি করে সে সময়ে রবীন্দ্রনাথ মোনব্রত অবলম্বন করেছিল। কোন কথায় বলে নাই। স্বাভাবিক যুক্তি জ্ঞান ব্যবহার করে অনুমান করা যায় এটা ভ্রান্ত দাবি। কলকাতায় প্রবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী সভা সমাবেশ চলছে। মাসের পর মাস কলকাতার সুশীল সমাজ দিস্তার পর দিস্তা কাগজ নষ্ট করে প্রবন্ধ লিখছে, একের পর এক ইংরেজ সরকারকে স্মারকলিপি দিচ্ছে কয়েক দিন পরপর, এই রকম একটা টালমাটাল অবস্থায় এইসব সুশীলদের প্রধান হোতা রবীন্দ্রনাথ চুপ ছিল এটা রবীন্দ্রনাথের ক্যারেক্টারের সাথে যায়? এরা রবীন্দ্রনাথের জীবনী পড়েছে কোন দিন?? 

রেফারেন্সঃ
১) ডঃ নীরদ বরণ হাজরা, কলকাতা ইতিহাসের দিনলিপি দ্বিতীয় খন্ড চতুর্থ পর্ব 
২) ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার জীবনের স্মৃতি দ্বীপে আবুল আসাদের ১০০ বছরের রাজনীতি থেকে উদ্ধৃত পৃষ্ঠা ৭২ 
৩) শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস ভিডিও বক্তব্য 
৪) সরকার শাহাবুদ্দিন আহমেদ ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র নজরুল চৈত্র পৃষ্ঠা ২৩১ 
৫) আব্দুল মান্নান বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ ২০১


নোটঃ

 (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.