Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

পরিবারকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন নাহিদ ও মোরসালিন। ঢাকা কলেজ ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সংঘর্ষের প্রাণ হারালেন অসহায় মায়ের দুজন সন্তান।

সোমবার রাত ১২ টা থেকে শুরু হওয়া ঢাকা কলেজ ছাত্র এবং নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের অর্জন হিসেবে আমরা কি পেলাম?
বিনিময়ে পেলাম শুধু নাহিদ ও মোরসালিন এর পরিবারের সান্তনাহীন বুকফাটা আর্তনাদ। 

মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল রাতে ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে নাহিদ নামের এক যুবক বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় এই সংঘর্ষের মধ্য পড়েন।

কিন্তু ঢাকা কলেজের ছাত্ররা মনে করে নাহিদ ব্যবসায়ীদের একজন এরপর তাকে অমানবিক ভাবে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।

নাহিদকে মুমূর্ষ অবস্থায় নিউমার্কেটের কর্মচারীরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ(২০) রাত ৯:৪০ মিনিটে মারা যান।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে ঘটনায় নাহিদের মাথায় আঘাত করা হয়। নাহিদের পরিবার থেকে জানা যায়, নাহিদ একটি ডেলিভারি কোম্পানি d-link কে ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করতেন। নাহিদ থাকতেন কামরাঙ্গীর চরে। তিনি কয়েক দিন আগেই নতুন বিয়ে করেছেন।

২১/০৪/২২ আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা ৪০ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান মোহাম্মদ মোরসালিন। মোহাম্মদ মোরসালিন ছিলেন রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে একটি প্যান্ট এর দোকানের কর্মচারী। তিনি থাকতেন কামরাঙ্গীরচরে পশ্চিম রসুলপুর।

মঙ্গলবার (১৯/০৪/২২) দুপুরবেলা ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দিনে সংঘর্ষে আহত হন মুরসালিন, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ মঙ্গলবার এমনকি বুধবার ও ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলত থাকে। তিনদিনের এ ঘটনায় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

নিউমার্কেটের কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি ছিলেন চারজন এর মত নাহিদ মারা যায় ১৯ তারিখে রাত ৯:৪০ মিনিটে এবং ২১ তারিখে বৃহস্পতিবার ভোর ৪:৪০ মিনিটে মারা যায় মোহাম্মদ মোরসালিন(২৪)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে আরো দুইজন মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি আছেন তারা হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন (১৮) ও মোহাম্মদ কানন চৌধুরী (২০)।

সোমবার রাত বারোটার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানদার কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয় প্রায় আড়াই ঘন্টা চলে সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও, মঙ্গলবার সকাল দশটার পর থেকে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয় দফায় দফায়, যা থেমে থেমে চলতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

বুধবার ও ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে। ঢাকা কলেজের ছাত্ররা এবং নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের এ সংঘর্ষের কারণ ইতিমধ্যে গনমাধ্যমের হাতে এবং প্রশাসনের হাতে এসেছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে তারা হলেন ঢাকা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের নাসিম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লিটন ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

তথ্য সূত্র অনুযায়ী চিহ্নিত তিনজনই ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।

এদিকে ঢাকা নিউ মার্কেট সংঘর্ষের কারণে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে খুলতে শুরু করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই এই মুহূর্তে স্বাভাবিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্য:
নিউমার্কেট এলাকায় যেমন অনেকটাই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে, কোন একদিন স্বাভাবিক হয়ে যাবে সবকিছুই। ভুলে যাবে সবাই এই সংঘর্ষ ঝরে যাওয়া দুটি প্রাণের কথা। ঢাকা নিউ মর্কেট চলবে সেই আগের মতই, ব্যবসা হবে জমজমাট। মুনাফা হবে অনেক বেশি।  ক্রেতাদের সাথে ব্যবহার দুর্ব্যবহার মিলে চলবে রমরমা ইভটিজিং এর ব্যবসা।

তেমনি স্বাভাবিক হয়ে যাবে ঢাকা কলেজের পরিবেশ। হয়তোবা শুরু হবে পাঠদান, শুরু হবে রাজনৈতিক চর্চার নানা সিডিউল। হয়তোবা শুরু হবে পাওয়ার চর্চা করার নতুন কৌশল। থাকবে আধিপত্যের লড়াই। হাজারো রকমের পারিপার্শ্বিকতার ভেতরেই ঢাকা কলেজ চলবে তার নিজের গতিতে।

কিন্তু একবারও কি কেউ ভেবে দেখেছেন? কি হবে সেই নাহিদের পরিবারে, একবার ভাবুন তো।
ঘরের কোণে বসে থাকা তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী, নিয়ে বুকে বেঁধে হাজারো হাহাকার। এই রমজানের মাসে এইতো আর কদিন পরে সেই খুশির দিন কিন্তু আদরের সেই নাহিদকে হারিয়ে পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন বাবা-মা নিরবে কেদে যাবে নাহিদের জন্য।

কে জানে হতেও তো পারে, নিউমার্কেটের সেই প্যান্টের দোকানে কর্মচারী মুরসালিন এর উপরেই ন্যস্ত ছিল তার পরিবারের দায়িত্বভার। তা না হলে এত অল্প বয়সে কেউ কর্মে যোগদান করে না।

যদি সত্যিই এমন টি হয় কিভাবে তার পরিবারের এই পবিত্র রমজান মাসে সামনে মুসলিমদের সেই আগত খুশির দিন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম যদি হারিয়ে যায়; আমি মনে করি শুধু মোরসালিনের মৃত্যু হলো না, তার সঙ্গে মৃত্যু হল তার সব পরিবারের।

যারা এই সংঘর্ষের মূল বিষয়টি সঙ্গে জড়িত তারা কি কখনো চিন্তা করেছে যারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিল তারাও তাদের ভাই।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদের অথবা নিউমার্কেটের কর্মচারী ব্যবসায়ীদের আমি বলতে চাই একবার ভাবুন তো আপনার ছোট ভাই অথবা আপনার পরিবারের সন্তান যদি এই মুহূর্তে কোনো কারণবশত পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় আপনার কেমন হবে।

আমার প্রশ্ন থাকলো সেই পাওয়ারফুল মানুষদের প্রতি যারা আজ শুধুমাত্র পাওয়ারের কারণেই সামান্যতম ঘটনাকে কেন্দ্র করে খালি করে দিল দুটি মায়ের বুক।

আমি বলতে চাই ঢাকা কলেজের সেই সব ছাত্র নামধারী পাওয়ারফুল ম্যানদের ছাত্রজীবনে পাওয়ার প্র্যাকটিস করা দোষ নয় কিন্তু পাওয়ারকে অপব্যবহার করাটা, যেমন দোষ তেমন অপরাধ। আপনাদের হাতে কলম এর বদলে যে অস্ত্রের ঝনঝনানি রাজপথের মাঝে, এটা আদৌ দেশের জনগণের মানুষের কাছে কাম্য নয়। 

আপনি প্রতিবাদী হোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আপনি পাওয়ারফুল হন ন্যায়ের পক্ষে, আপনি শক্তিমত্তা কে চর্চা করুন সঠিক পথে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু আপনি চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো আপনার এই সব কিছুকে আদৌও সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন?

আমি সেইসব ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা ব্যবসা করুন ব্যবসার হালাল পদ্ধতিতে। মনে রাখবেন কাস্টমার বা বক্তা আপনার ব্যবসার মূল চাবিকাঠি আপনাকে প্রকৃত ব্যবসায়ী হতে হলে প্রথমে প্রকৃত মানুষ হতে হবে।

No comments

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.