Header Ads

Header ADS

আমি, আব্দুল্লাহ আল মামুন

আমি আমার মত। হতে চাইনা কারু মত। কি হবে? অন্যের সাথে তুলনা করে। আমার স্বক্ষমতার মাঝেই আমার স্বপ্ন।।

"Self-realization is power for oneself"

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের পুরোনো খেলা এবং রবীন্দ্রনাথের নোংরা কুকীর্তি। যা এখনও অনেক বাংলার কিছু জারজ মানতে পারে না। তাদের জন্য। (দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য)। /// /// ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ইং বুয়েটের ভয়নংকর একটি কালো রাত, জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত।

মঙ্গল শুভযাত্রা কি আসলেই বাঙালির ঐতিহ্য। মঙ্গল শুভযাত্রা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে পালন করা কি?

শোভাযাত্রা কি আসলেই বাঙালির ঐতিহ্য?
পুরনো সংস্কৃতির নামে কিভাবে বাংলার ঐতিহ্যকে ধর্ষণ করা হয়েছে?
বাংলার ঐতিহ্যের নামে কিভাবে বিজাতীয় ধর্মকে বাঙালি মুসলমান জাতির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে?
তা জানতে হলে আমাদেরকে দেখতে হবে শোভাযাত্রা কি কেন এবং কিভাবে শুরু হয়।

ধর্মীয় বিষয়ে ধর্মীয় ইস্যুতে ধর্ম সন্ত্রাসীদের হানা দেওয়া আজ প্রথম নয় সেই আদি থেকে এ পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ইসলাম ধর্মের ওপরে নানান ভাবে কু তৎপরতা চালিয়ে আসছে কিছু কুচক্র মহল।

১৯৮৪ সাল বাংলাতে ১৩৯০ সনে চৈত্র মাসের শেষ দিনে চট্টগ্রামের ডিসি পাহাড়ের সামনে থেকে প্রথম এই আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা কথাটি মনে রাখবেন।

শুভযাত্রা মূল উদ্দেশ্য ছিল সেই সময়ের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ এবং তরুণ প্রজন্মকে একত্রিতকরণের উপলক্ষ্যমাত্র। এই শোভাযাত্রাটি ঢাকের বাদ্যে ঢোলের আওয়াজে এবং বাঁশির সুরে স্যাক্সোফোনের সুরে আর রংবেরঙের পোশাকের সাজে বৌদ্ধ মন্দির সড়ক হয়ে শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার "কে সি দে" সড়ক লালদীঘি, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড হয়ে আবার ডিসি পাহাড়ে ফিরে আসে। সেই সময়ের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে একত্র করন এর উদ্দেশ্যে পহেলা বৈশাখ কে কেন্দ্র করে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়।

এটা সেই সময়ের আয়োজকদের মৌখিক দাবি হলেও আমি মনে করি এর ভেতরে উহ্য ভাবে কিছু জিনিস ইনজেক্ট করা হয়েছে যা সরাসরি ইসলাম ধর্ম বিরোধী।

সে সময়ে আয়োজক পরিষদের আহ্বায়ক নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন দেশের স্বৈরশাসনের সকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ পহেলা বৈশাখের আয়োজন এর নতুন মাত্রা আনতে আমরা চট্টগ্রামে শোভাযাত্রা শুরু করেছিলাম।

১৯৭৮ সালে প্রথম নববর্ষ আয়োজন হলেও তার ছয় বছর পর শোভাযাত্রা নববর্ষের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবং এই সালেই চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীরা এবং সংস্কৃতি মনা মানুষ গুলো খুব বড় করে ঘটা করে ব্যাপক সাড়া ফেলে নববর্ষ এবং শোভাযাত্রা একসঙ্গে পালন করে।

২০০৬ সালে বাংলায় ১৪১৩ সনে নববর্ষে চট্টগ্রামের চারুকলা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী দের সংগঠন চট্টগ্রাম চারুশিল্পী সম্মেলন এর অন্যতম আয়োজক ও সংগঠক সুব্রত বড়ুয়া বলেন ডিসি পাহাড়ের আয়োজনে পাশাপাশি আমরা প্রথম পহেলা বৈশাখের আয়োজন শুরু করলাম একটু ভিন্নভাবে বছরের শুরুর দিকে অর্থবহ করে তুলতে শোভাযাত্রা করার চিন্তা মাথায় আসে। আনন্দ শোভাযাত্রা অর্থবহ করে তুলতে অনেক বড় আয়োজনে নতুন ব্যানারে  মঙ্গল শোভাযাত্রা জাগজমক ভাবে পালিত হয়।

এক নিমিষেয় আনন্দ শোভাযাত্রা হয়ে যায় মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
এরপর থেকে একের পর এক বাংলার সংস্কৃতির নামে বাংলার মূল সংস্কৃতির উপরে সংস্কৃত সন্ত্রাসীর মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে ধর্ষণ করা হয়। এবং জনসাধারণকে সুকৌশলে বোঝানো হয় এটি আমাদের বাংলার পুরনো ঐতিহ্য। ইতিহাসের উপর পর্যালোচনা করে দেখা যায় এই শোভাযাত্রার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সময়কাল ৩৮ বছর, এ স্বল্প সময়ে রীতিনীতি কিভাবে আমাদের পুরনো ঐতিহ্য হয়। আমার বুঝে আসেনা।

যেসব মূর্খ বুদ্ধিজীবী তথাকথিত বিজ্ঞান মনা ব্যক্তিত্বরা পহেলা বৈশাখ এর মঙ্গল যাত্রা কে বাংলার ঐতিহ্য বলে দাবি করে, তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম ২০১৭ সালে ১১ ই এপ্রিল "প্রথম আলো" এই মঙ্গল যাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে কবে থেকে এই মঙ্গল যাত্রা কি কারনে শুরু হয়।
১৯৮৪ সালে যদিও সংস্কৃতিকর্মীরা বলে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মূলক শোভাযাত্রা শুরু হয় তবে এটা নিতান্তই মৌখিক স্বীকারোক্তি। এই শুভযাত্রা ভালো করে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মূলত নির্দিষ্ট কোন একটা ধর্মের রীতিনীতি বিজাতীয় কিছু সংস্কৃতি সংমিশ্রণ করে বাঙালি জাতিকে সুকৌশলে এমনভাবে বুঝানো হয়েছে যে বাঙালি জাতি খুব সহজে বিষয়টা গ্রহণ করেছে।

আপনি কি জানেন ১৯৪৭ সালে কেন দেশ ভাগ হয়েছিল, কিসের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছিল? দেশভাগের মূল ভিত্তি ছিল ধর্ম ও ধর্মীয় রীতিনীতি। ব্রিটিশরা যখন দেখল ভারতবর্ষে বৃহত্তম দুটি ধর্ম ইসলাম ও হিন্দু। তখন তারা চিন্তা করলো মুসলিম সম্প্রদায়কে এবং হিন্দু সম্প্রদায় কে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করতে। এর প্রেক্ষিতেই পূর্ববঙ্গ ও পাকিস্তান একদিকে এবং বর্তমান ভারত একদিকে ভাগ করা হয়।

আমাদের পূর্ববঙ্গে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়ায় এখানে ইসলামিক কালচার রীতিনীতি ব্যাপক প্রসারিত ছিল।

১৯৭১ সালে আমাদের নিজেদের অধিকার আদায়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। ইসলামিক সংস্কৃত বিসর্জন দিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃত আনার জন্য স্বাধীনতা লাভ করা হয়নি। মনে রাখতে হবে আমাদের এই বাংলাদেশ ১৯৪৭ সালে প্রথম রূপ পায় ইসলামী রীতিনীতি ও ইসলাম ধর্মের ভিত্তিতে দ্বিতীয়ত রূপ পায় অধিকার আদায়ের ভিত্তিতে। 

আপনি এই শুভযাত্রা খুব ভালো ভাবে পরিলক্ষিত করলে দেখবেন বিভিন্ন রংবেরঙের সাজে ছেলেমেয়ে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন  পশুপাখির ভাস্কর্য এবং চিত্র এমনকি তৈরি করা মূর্তি এই শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত হয়।
যা আমাদের ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

এবং শুরুর দিকে এর বিষয়গুলো উহ্য থাকলেও ধীরে ধীরে তারা প্রকাশ্যে বলতে থাকে এই নিদর্শন গুলোর অর্থ কি বহন করে। যেরকম প্যাচার মূর্তি বা ভাস্কর্য তারা শোভাযাত্রায় প্রদর্শন করে তাদের বিশ্বাস এই পেঁচা মানুষের জন্য সুদিন বয়ে নিয়ে আসে।
যা একটি ভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতি কে সম্পূর্ণরূপে এই শোভাযাত্রায় ইনজেক্ট করা হয়েছে।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ "তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে যে আল্লাহ ব্যতীত এমন কাউকে ডাকে যে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দেবে না এবং তারা তাদের আহ্বান সম্বন্ধে অনবহিত" [সুরা আহকাফ, আয়াত ৫]

যদি কেউ এই শোভাযাত্রাকে নিজের ধর্মের রীতি  হিসেবে  পালন করে থাকে তাহলে আমার কোনো কথা বা প্রশ্ন নেই।

আমার কথা তাদের জন্য যে ভাই ও বোন আমার ইসলাম ধর্মের হয়েও খুব সহজেই বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনের ফলে নিজেকে  কুফুরি কাজে লিপ্ত করছে। 

তারা কি জানেনা কোরআন-এ আল্লাহর বলেছেনঃ
"তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত"(সূরা আল মায়েদা,আয়াত ৫১) 

তারা কি জানেনা আমাদের রাসুল (সঃ) কি বলেছেন।

রাসূল (সঃ) বলেন: 

مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ 

“যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখল সে তাদের অন্তর্ভুক্ত”। (আবু দাউদ, হাদীস নং: ৪০৩১)।


আমার মুসলিম ভাই-বোনদের জানা থাকা উচিত,
আমরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত আমাদের অবশ্যই জানতে হবে ধর্ম আমাদের কি করতে বলেছে, কি করতে নিষেধ করেছেন।

আমার কথা বলার উপর ভিত্তি করে অনেকেই বলতে পারে আমি মুসলিম কট্টরপন্থী। তাদের উদ্দেশ্যে করে আমি বলতে চাই ইসলাম ধর্মে উদারপন্থী বলে কোন শব্দ নেই বা কট্টরপন্থী বলে কোন শব্দ নেই।  ইসলাম শুধুই ইসলাম। যে মুসলমান ইসলামের সঠিক পথে থাকে তাকেই মমিন বলে ঈমানদার বলে। আর যে মুসলমান উদারপন্থী নামে ইসলামী বিধানের কিছু বিষয় উহ্য করতে চেষ্টা করে তাদেরকে মুনাফিক বলে।


সুতরাং আপনার সেকুলার রীতিনীতিতে কট্টর এবং উদারপন্থী থাকতে পারে ইসলামে এসবের জায়গা নেই।

আমাদের মুসলমান ভাই-বোনদের জানা উচিত কিছু মহল বিভিন্ন স্লোগানে বিভিন্ন উক্তির মাধ্যমে জাতিকে সংমিশ্রণ করে ধর্মকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।

যেমন এই বেশ কিছুদিন আগ থেকেই বলা শুরু হয়েছিল "ধর্ম যার যার উৎসব সবার" এই কথাটির আমি সম্পূর্ণরূপে প্রতিবাদ করি। কেননা একজনের ধর্ম সবার জন্য উৎসব হতে পারেনা। যদি তাই হত মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসবেও ভিন্ন ধর্মের অবলম্বীরা উৎসব করত। তবে কেন শুধু এই বিশাল মুসলিম কমিউনিটিকে বারবার ভুল বুঝনো হচ্ছে আমার বুঝে আসেনা। ধর্মকে বিকৃত করার দায়িত্ব কি তারা সরাসরি নিয়েছে।

ইবনে তাইমিয়াহ(র) বলেনঃ

‎“وهــــذا الحديث أقل أحواله أن يقتضي تحريم التشبه بهم وإن كان ظــاهره يقتضي كفر المتشبه بهم كما في قوله تعالى: {وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ

এ হাদসের সর্বনিম্ন দাবি "তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হারাম যদিও হাদিসের বাহ্যিক অর্থে দেবী কুফরি"।

আমাদের বাংলাদেশ ধর্ম ও ধর্মীয় রীতিনীতিতে ভাগ করা হলেও বর্তমানে আমরা অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির দেশ হিসেবে মনে করে থাকি।  সেই অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির দেশে কথাটা এভাবে বলা উচিত ছিল "ধর্ম যার যার উৎসব তার তার তবে বন্ধন হোক সম্মিলিত"।

এই একই রকম ভাবে উল্লেখ করার মতো অনেক কথা  আছে যেগুলো দিয়ে বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়কে ধর্ম থেকে বিচ্যুতি করার একটা ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।

এছাড়াও  শোভাযাত্রায়  যে বস্তু বা  বিষয় প্রদর্শন করা হয়, তাতে  ইসলাম কি বলে?

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ "আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে আহ্বান করুনা যা তোমার উপকার করতে পারেনা ক্ষতিও করতে পারে না বস্তুত তুমি যদি এমন কাজ করো তাহলে তুমি অবশ্যই জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে"। [সূরা ইউনুস, আয়াত ১০৬]

তাহলে বৈশাখী আহ্বান  শোভাযাত্রা কিসের উপলক্ষ করে। শুভযাত্রা যে পেঁচা ব্যবহৃত হয় সে কি আদৌ আমাদেরকে শুভ দিন বয়ে এনে দিতে পারবে? আমরা কেন জেনে অথবা না জেনে এই কুফুরী কাজ অনায়াসে করছি। 

এই আয়াত থেকে আমরা কি বুঝতে পারিনা । আমরা কি আদৌ শুভযাত্রা পালন করতে পারি? প্রশ্নটা আমার মুসলমান ভাই-বোনদের কাছে।

আমি আশা করব আমার মুসলিম ভাই ও বোন বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

আমরা সবসময় চেষ্টা করব আমাদের ধর্মীয় রীতি নীতির ভিতরে যা সম্ভব, যা ইসলাম আমাদের অনুমতি দিয়েছে এর বাহিরে কিছু করা মানে আমাদের ধর্মকে অবমানা করা। আর একজন মুসলিম হিসেবে কেউই চাইবেনা তার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করতে। 

অনেক মুসলিম ভাই-বোন আছেন তারা বলতে পারেন আমরা বাংলা জাতি এটা আমাদের বাঙালি ঐতিহ্য বাঙালির রীতি-নীতি বাঙালি জাতি হিসেবে এটা সবার পালন করা উচিত, তাদের উদ্দেশ্যে আবারও বলছি,

আপনি যদি মনে করে থাকেন এটা বাঙালি জাতীর  ঐতিহ্য এর ব্যাখ্যা আমিও উপরে দিয়েছি।
এছাড়াও দিবস বা উৎসব সম্বন্ধে আপনার-আমার ধর্ম কি বলে তা দেখুনঃ

উৎসবের সাথে ধর্মীয় চিন্তা ধারা গভীরভাবে যোগসুত্র এই কারনেই আমাদের মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) মুসলিমদের জন্য সুস্পষ্ট ভাষায় উৎসবের দিন খন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাহলে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের উৎসব আয়োজনে সাথে ইসলামী উৎসব সংস্কৃতি সংমিশ্রিত বা সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখানে কোন ভাবেই বলার সুযোগ নেই আমি বাঙালি জাতি আমার জন্য উৎসব বা দিবস আলাদা।

আপনাকে মনে রাখতে হবে প্রথমে আপনি মুসলিম। এরপর আপনি বাঙালি জাতি। 
ইসলামী উৎসবের স্বাতন্ত্র্য তুলে ধরে রাসুল (সাঃ) বলেনঃ

إِنَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيدًا وَهَذَا عِيدُنَا

"প্রত্যেক জাতির নিজস্ব উৎসব রয়েছে আর আমাদের জন্য ঈদ" [বোখারী ৯৫২ মুসলিম ৮৯২]

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বর্ণিতঃ

‎قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا ، فَقَالَ : ” مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ ؟ ” قَالُوا : كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَدْ أَبْدَلَكُمْ يَوْمَيْنِ خَيْرًا مِنْهُمَا : يَوْمَ الْأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ ” .

"রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন মদীনায় আসলেন, মদীনায় তখন তাদের দুটো উৎসবের দিন ছিল। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন এই দুটো দিনের তাৎপর্য কি? তখন তারা বলল জাহেলিয়াতের যুগে আমরা এই দুটো দিনে উৎসব করতাম।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ "এই দিনগুলোর পরিবর্তে আল্লাহ তোমাদের উত্তম কিছু দিন দিয়েছেন কোরবানির ঈদ ও রোজার ঈদ" (সুনান আবু দাউদ)

এরপরেও যদি আপনি মনে করেন আমার কথাগুলো আপনার গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাহলে বলব আপনি নিজের থেকে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করুন একটু সময় করে তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার মাবূদ আপনার রাসুল আপনাকে কি বলেছেন। কেননা যদি না জানা থাকে তার জন্য জানা বা শেখা ফরজ।

আমি জানিনা বলে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন উপায় আছে বলে আমি মনে করিনা।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আমার এই টুকুই বলার থাকবেঃ
আপনার স্নেহের সন্তান কে যে বয়সে আপনি স্বাধীনতার দেওয়ার নামে দায়িত্বহীন হয়ে ছেড়ে রেখেছেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালন করতে। 

সে বয়সেই মুস'আব বিন উমায়ের(রাঃ) গিয়েছেন ওহুদ যুদ্ধে শহীদ হতে। 

আপনার সচেতনতার অভাবে যদি আপনার সন্তান নষ্ট হয়ে যায় তবে এর ব্যর্থতার দায়ভার আপনারই,
 জেনে রাখুন রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

اَلاَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ‘

"তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। আর প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।" (মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত হা/৩৬৮৫)

সুতরাং আসুন সেদিন আসার আগেই আমরা স্বচেতন হই, যেদিন আমার সন্তান আমার জান্নাতের গতিরোধ করবে।

তো আসুন আমরা সঠিক ইসলামকে জানতে চেষ্টা করি এবং ইসলামী জীবন বিধানে নিজেকে গড়তে চেষ্টা করি।




(আল্লাহ হাফেজ)

1 comment:

  1. আপনার মতামত জানাতে পারেন এখানে। আমি আপনার মতামত কে সম্মান করি।

    ReplyDelete

Theme images by mattjeacock. Powered by Blogger.